আড্ডা–গানে ঈদ পুনর্মিলনী

কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার ঈদ পুনর্মিলনী
ছবি: বন্ধুসভা

২২ জুন শনিবার ঠিক বেলা দেড়টায় থাকতে হবে নির্ধারিত স্থানে, যোগ দিতে হবে বন্ধুসভার ঈদ পুনর্মিলনীতে। আগেই বলা হয়েছিল আড্ডা হবে, গান হবে, হাসিখুশি আনন্দ হবে; হবে সাংগঠনিক বেশ কিছু সিদ্ধান্ত, সঙ্গে ঠিক হবে কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার পরবর্তী গন্তব্য।

ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বাজতেই রিকশাযোগে পৌঁছে যাই নির্ধারিত ভেন্যুতে, একে একে সবাই উপস্থিত হতেই চোখ বোলালাম মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে।
কিছুক্ষণ চলল কুশল বিনিময় পর্ব, ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র, সমাজ এমনকি রাসেলস ভাইপার সাপ—সব আলোচনা সফলতার চূড়ান্তে রূপ নেওয়ার আগে অনেকেই চেয়েছেন ভোজের পর্ব ইতি টানতে। সবাইকে কাবু করেছে ক্ষুধা, বাকি রইল না জানতে।

আলোচনা টেবিলে থাকতেই খাবারে ভরে গেল চারপাশ। কথা সাময়িক বন্ধ, খাবার খেয়ে আরও বেশি পুষ্ট শরীরে আড্ডা জমালে ব্যাপারটা হবে না মন্দ।
অবশেষে কোমল পানীয়ের গ্লাসে ভেসে ভেসে ভোজ পর্ব হলো সমাপ্ত। পুনর্বার আড্ডায় বাকি কথা শুরু হলো, বন্ধুসভাকে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত!

জুলাইয়ের শুরুতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সঙ্গে মৌসুমি ফলের উৎসবে মাতবে কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভা। এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন সভায় সমবেত সবাই।

সাংগঠনিক আড্ডা শেষে যুক্ত হলো নতুন মাত্রা, বন্ধুদের সমবেত অংশগ্রহণে শুরু হলো অপরিকল্পিত অথচ প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। একক, ব্যাপক—বহুবিদ গানে কণ্ঠ মেলালেন উপস্থিত বন্ধুরা। কেউ গাইলেন ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’, কেউ গাইলেন ‘নিঃস্ব করেছ আমায়’সহ জনপ্রিয় সব আধুনিক বাংলা গান।

দীর্ঘদিন পর এমন আড্ডা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। যাঁরাই দেখেছেন, চেয়ে থেকেছেন আর আক্ষেপ করেছেন যুক্ত না থাকার জন্য। অনেক নতুন বন্ধু যুক্ত হয়েছেন আবার।

সভাপতি, কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভা