‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র’ নিয়ে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার পাঠচক্র
বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র হলো বন্ধুসভার সংবিধান। বন্ধুসভার সব কাজ সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এটির ভূমিকা অসীম। গঠনতন্ত্রে রয়েছে বন্ধুসভার পরিচিতি, মূলনীতি, নিয়মশৃঙ্খলা, দেশপ্রেমে নিবেদিত হওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, গণতন্ত্রে বিশ্বাস ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করা। পাঁচটি অনুচ্ছেদের এই গঠনতন্ত্র অত্যন্ত সুসংগত ও সহজবোধ্য।
২৯ জুন বিকেলে ‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুর পাড়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রচার সম্পাদক আলিফ হোসেন বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের প্রথম অনুচ্ছেদ পাঠ করে জানতে পারি বন্ধুসভার পরিচিতি, প্রতীক, প্রতীকের ব্যাখ্যা, বন্ধুসভার স্থানীয় প্রতীক কেমন হবে, সেটি সম্পর্কে ধারণা। বন্ধুসভার দাপ্তরিক কাজে কোন ভাষা ব্যবহার করা যাবে, বন্ধুসভার সাংগঠনিক সংগীত, শপথ বাক্য, সাংগঠনিক বছর, সংগঠনের মূলনীতি সম্পর্কে ধারণা পাই।’
পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিথিলা আক্তার গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে আমরা বন্ধুসভার বৈশিষ্ট্য, বন্ধুসভার লক্ষ্য উদ্দেশ্য দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে ধারণা পাই।’
সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন গঠনতন্ত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ অনুচ্ছেদে বন্ধুসভার কেন্দ্রীয় পর্ষদ, কেন্দ্রীয় পর্ষদের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে ধারণা পাই। সেই সঙ্গে কোন পদের কোন কাজ, সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাই।’
বন্ধু তপু রায় পঞ্চম অনুচ্ছেদ পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্রে সংগঠন পরিচালনার জন্য আর্থিক তহবিল গঠন ও ব্যয়, আর্থিক হিসাব, মাসিক চাঁদা ও শৃঙ্খলা সম্পর্কে ধারণা পাই।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শিহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক এম মারুফ হাসান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক তপু রায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।