বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বলাই’ গল্প নিয়ে পাঠের আসর করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা। গত ২৯ আগস্ট বিকেলে জেলা শহরের শহীদ সাটু হল মার্কেটের প্রমিত কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে গল্পটি নিয়ে আলোচনা করেন পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক আনিফ রুবেদ। তিনি বলেন, ‘এ গল্পে রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। “বলাই” একজন মা–হারা শিশু। বাবা দূরে থাকে। কাকির কোলেই মানুষ। সে সবার সঙ্গে উচ্ছ্বসিতভাবে মেলামেশা করতে পারে না। কিন্তু প্রকৃতির প্রতি তার দুর্বলতা প্রচুর। সে গাছ, প্রকৃতি, ঘাসের প্রতি ভালোবাসার অব্যক্ত ভাব প্রকাশ করে। সহপাঠীদের কেউ গাছের পাতা ছিঁড়লে, ডাল ভাঙলে সে তা দেখতে পারে না। লুকিয়ে কাঁদতে থাকে। বাড়ির সামনে একটি শিমুলচারার সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। রাস্তার ওপর চারাগাছটি হওয়ায় তার কাকা তা কয়েকবার কাটতে উদ্যত হলেও সে নানা অনুনয়-বিনয় করে কাকির সহযোগিতা নিয়ে তাকে নিবারণ করে।’
আনিফ রুবেদ আরও বলেন, ‘একসময় বলাইকে নিয়ে বাবা বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। কয়েক বছর পর বিদেশ যাবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় বলাই আসতে না পেরে কাকির কাছে গাছটির একটি ছবি চেয়ে চিঠি পাঠায়। কিন্তু ওই চিঠি আসার কয়েক দিন আগেই কাকা গাছটি কেটে ফেলে। ফলে বলাইর মতো কাকির মনেও গাছটিকে নিয়ে যে ভালোবাসা ছিল তার প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায়। তিনিও কেঁদে ফেলেন। এভাবেই শেষ হয় গল্পটি। এখানে একটি শিশুর প্রকৃতি ও গাছের প্রতি যে ভালোবাসা, তা দেখানো হয়েছে। তাই এ গল্পের শিক্ষা নিয়ে বন্ধুসভার বন্ধুদেরও প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করতে হবে। বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে। যত্ন নিয়ে তা বড় করতে হবে।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা শফিকুল আলম, আনোয়ার হোসেন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, সহসভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক আলী উজ্জামান নূর, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, বন্ধু মাশরুফা খাতুন, ফাবিহা ফারজানা, ফারজাহান ফারিহা, নাফিউল ইসলাম, আল মাহমুদ, মঈন আলীসহ অন্যরা।
জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা