‘বন্ধুসভা যা কাজ করে, সবই ভালো লাগে। তবু মনে হয় আরও ভালো করা যায়। বই পড়া, বিতর্ক ও শিল্প-সংস্কৃতিচর্চা, দক্ষতা উন্নয়ন, এসব তো আছেই। পাশাপাশি কিছু ভালো আলোচনার আয়োজন করা। তরুণদের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে বিভিন্ন বিষয়ে এ আলোচনা হতে পারে। প্রতি মাসে অন্তত একটা।’
বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪-২৫-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পর্ষদের উপদেষ্টা ও সদস্যরা।
মতিউর রহমান বলেন, ‘কথা বলার জড়তা একটা বিশাল সমস্যা। বন্ধুদের এটা দূর করতে হবে। কেন্দ্র থেকে সারা দেশের বন্ধুসভাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।’ বন্ধুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভা প্রথম আলোর মতোই নির্দলীয় থাকবে। তবে জাতীর স্বার্থে আমাদের একটা ভূমিকা থাকতে পারে। আমরা সহনশীলতার মধ্যে থাকব। সহিংস হব না, বিবাদ করব না। রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা থাকতে পারে।’
প্রথম আলো যেসব কাজ করে, সেগুলোয় বন্ধুসভা যুক্ত না হলে আমাদের কাজ সফল হতো না। এদিক দিয়ে বন্ধুসভা অনেক বড় শক্তি উল্লেখ করে মতিউর রহমান বলেন, ‘বন্ধুসভা আমাদের সুনাম বহুগুণ বাড়িয়েছে’।
প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘একটা কমিটিতে সবাই শতভাগ কাজ করবে না। কেউ ৮০ শতাংশ, কেউ ৫০, কেউ ৪০ শতাংশ কাজ করবে। তবে সবাইকে মিলেই কাজ করতে হবে। এভাবেই একটি সংগঠন এগিয়ে যায়। বিগত বছর জাতীয় পর্ষদ যেভাবে আমাদের ব্যতিব্যস্ত রেখেছে, আশা করি আগামী এক বছরও এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।’
বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা ও মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল বলেন, সময়জ্ঞান ও কাজের প্রতি নিষ্ঠা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক বিগত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি পর্ষদের দাপ্তরিক সম্পাদকদের কাজের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করেন। জাফর সাদিক বলেন, বন্ধুসভা এখন সামাজিকভাবে অনেক শক্তিশালী। সবাই বন্ধুসভার সঙ্গে কাজ করতে চান।
সভায় বছরব্যাপী কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক। সভা শেষে ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫ ঘোষণা করা হয়।