একুশের ইতিহাস এক বিদ্রোহী ও বিপ্লবী দেশ ও মানুষের প্রথম আত্মোপলব্ধির কাহিনি। যে পথ ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত, সেই পথ ধরেই তো যাত্রা আমাদের সবার—দূরলক্ষ্য, ভবিতব্য ও ইতিহাসের দিকে।
জীবন ও মৃত্যুকে একদা যে তরুণের দল পায়ের ভৃত্য গণ্য করেছিল, সেই অমর্ত্যলোকবাসীদের কল্যাণাশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে থাকুক। তাদের মতো আমাদেরও হাতে হাতে বায়ুহিল্লোলে উড্ডীন হোক একুশের প্রতিজ্ঞাদীপ্ত শোনিমাংশু পতাকা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও জাতীয় শহীদ দিবসে হায়াত মামুদের লেখা ‘অমর একুশে’ বইটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে নাটোর বন্ধুসভা। ২১ ফেব্রুয়ারি নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
হায়াত মামুদের লেখা বইটি একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত। অমর একুশকে যাঁরা পরম আশা ও মমতায় ক্ষীণপ্রাণ উত্তরপ্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন, কেবল তাঁদের অপরিশোধ্য ঋণ পরিশোধ নয়, বরং তাঁদের স্বীকৃতি দান শ্রদ্ধানত মস্তকে, অশ্রুভারাতুর হৃদয়ে। সেই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের প্রাথমিক শর্ত হোক একুশের ইতিহাসকে জানা ও ভালোবাসা।
সাধারণ সম্পাদক সাবরিনা সুলতানার সঞ্চালনায় পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন নাটোর বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাতী রানী বসাক, বর্তমান সভাপতি সেলিম রেজা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক পূজা দাস, সংস্কৃতি সম্পাদক অর্পিতা, প্রচার সম্পাদক মিন্নাত হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক স্বপন কুমার, দপ্তর সম্পাদক সারোয়ার রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য নাজমুল হোসেন, বন্ধু সুমা মন্ডল, ছন্দা মহন্তসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, নাটোর বন্ধুসভা