বন্যার্তদের পাশে দিনাজপুর বন্ধুসভা
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চরম দুর্ভোগে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ১১টি জেলা। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরসহ বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ধীরে ধীরে বন্যার পানি কমলেও কমেনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও আশ্রয়স্থলের সংকটে এখনো চলছে হাহাকার।
বন্যাকবলিত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তহবিল সংগ্রহ করে দিনাজপুর বন্ধুসভা। গত ২৩ ও ২৪ আগস্ট শহরের বিভিন্ন স্থানে ডোনেশন বক্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় ৪৬ হাজার ৯৫ টাকা। বন্যার্তদের জন্য সংগৃহীত এই অর্থ বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়।
বন্যার্তদের জন্য সংগৃহীত এই অর্থ বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়।
দিনাজপুর সদর উপজেলার বড় মাঠ, মালদহপট্টি ও রাজবাড়ী এলাকায় তহবিল সংগ্রহ করেন বন্ধুরা। এ সময় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শবনম মুস্তারিন বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের সহযোগিতার মনোভাব দেখে কাজের আগ্রহ আরও বেড়ে গেল।’
বন্ধুরা জানান, কাটাপাড়া এলাকায় তহবিল সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, মানুষ নিজ থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রামের নারীরা অনেকে বন্যাকবলিত এলাকার ভিডিও দেখে খুব আফসোস করছেন। একজন জেলে তাঁর আয়ের সম্পূর্ণ অর্থ দান করে দিলেন এবং বন্ধুদের কাজকে দারুণভাবে উৎসাহিত করেন।
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে ব্যাংকে জমানো সব টাকা তহবিলে দেন বন্ধু মান্নাফ। তাঁর এমন সহমর্মিতায় খুশি হয়ে মা লাজু রহমান বলেন, ‘ছেলে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।’
তহবিল সংগ্রহের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধু উৎস বলেন, শিশুদেরও আটকানো যাচ্ছিল না। অভিভাবকদের পাশাপাশি তারাও যা পারছে বক্সে দিয়ে যায়। সব মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশের পথে এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
প্রথম আলো দিনাজপুর প্রতিনিধি শৈশব রাজু বলেন, ‘দুই দিনে বন্ধুরা যথেষ্ট তহবিল সংগ্রহ করেছেন। আশা করছি, এই তহবিল বন্যার্তদের মধ্যে পৌঁছে যাবে। দিনাজপুর বন্ধুসভা সব সময় দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
তহবিল সংগ্রহ উপকমিটির আহ্বায়ক সুব্রত সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় এই কার্যক্রম। সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন বন্ধু আরিয়ানা সাবা, বিপ্লব রায়, সুমা আক্তার, জুই আফরোজ, সন্দীপ, জাহিন নেওয়াজ ও ইনজামাম।
সভাপতি, দিনাজপুর বন্ধুসভা