রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব-কৈশোরের ইতিবৃত্ত ‘ছেলেবেলা’

দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘ছেলেবেলা’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে দিনাজপুর বন্ধুসভা। ১৮ মার্চ দিনাজপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা সাহিত্যজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে যদি কেউ থেকে থাকেন, তিনি হলেন আমাদের প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর কবি থেকে বিশ্বকবি হয়ে ওঠার পথটি সত্যিই এক অবিমিশ্র বিস্ময় ও মুগ্ধতার। তিনি শুধু একজন শ্রেষ্ঠ কবিই নন; একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।

পাঠচক্রের শুরুতে সঞ্চালক বীথি রায় বলেন, শিশু বয়সের চেতনালব্ধ কল্পনা ও ছেলেমানুষি মন ফেরানোর উদ্দীপ্ত ভাবনায় কবি লিখেছেন শৈশব-কৈশোরের ইতিবৃত্ত অর্থাৎ ‘ছেলেবেলা’ প্রবন্ধটি।

বইটি শুরু হয় ঠাকুরবাড়ির বর্ণনা দিয়ে, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। বিশাল পরিবার, ঘরোয়া নিয়মকানুন, বাল্যকালীন শিক্ষা এবং ছোটবেলার দুরন্তপনা—সবকিছুই অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাষায় ফুটে উঠেছে বইটিতে। কবি তাঁর শিক্ষাজীবনের একঘেয়েমি, পরিবারের কঠোর শৃঙ্খলা, দাদা-ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রকৃতির প্রতি গভীর মুগ্ধতার কথা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন।

‘ছেলেবেলা’ প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশবের স্মৃতিকথা। এই বইয়ে তিনি তাঁর শৈশব ও বাল্যজীবনের নানা অভিজ্ঞতা, পারিবারিক পরিবেশ, শিক্ষালাভ ও তৎকালীন সমাজব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেছেন। বইটি শুধু রবীন্দ্রনাথের জীবনীমূলক তথ্যের বিস্তার নয়, বরং তৎকালীন বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির দর্পণ।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী, সহসভাপতি আরিয়ানা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়, বইমেলা সম্পাদক কৃষ্ণ পদ বর্মণ, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক বীথি রায়, দপ্তর সম্পাদক আল আবিক উৎসসহ অন্যান্য বন্ধুরা।

ম্যাগাজিন সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা