নোবিপ্রবি বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘সেলুন পাঠাগার’

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের সেলুনে ‘সেলুন পাঠাগার’ স্থাপনের পর নোবিপ্রবি বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

উন্নত জাতি গঠনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে দেকার্তে বলেছেন, ‘ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা।’ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন বই, বই এবং বই।’ তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনগণের পাঠাভ্যাস সৃষ্টি এবং বৃদ্ধি করতে ২০১৮ সাল থেকে পালন করে আসছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।

১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি।’

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘সেলুন পাঠাগার’
ছবি: বন্ধুসভা

এ প্রতিপাদ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা স্থাপন করেছে ‘সেলুন পাঠাগার’। ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের সেলুনে এটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ সময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট মেহেদী হাসান রুবেল, নোবিপ্রবি বন্ধুসভার উপদেষ্টা বিপ্লব মল্লিক, সৈয়দ মো. সিয়াম, কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পীযুষ কান্তি ঝাঁ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বায়েজীদসহ অন্যরা।

সেলুন পাঠাগার সম্পর্কে নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সভাপতি আবু রায়হান বলেন, ‘মূলত বই পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে আমাদের এ উদ্যোগ। যাঁরা সেলুনে এসে সিরিয়ালে বসে থেকে সময় কাটান, তাঁরা যেন এই পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়তে পারেন, তাই এটা স্থাপন করেছি।’

বন্ধুসভার এমন অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রক্টর আনিসুজ্জামান বলেন, ‘নোবিপ্রবি বন্ধুসভাকে অনেক ধন্যবাদ। এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত আছে, যাঁরা পরিশ্রম করে এই পাঠাগারটি স্থাপন করেছেন, তাঁদেরকে অনেক ধন্যবাদ।’ পাঠাগার সম্পর্কিত সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, ‘এমন সুন্দর উদ্যোগের জন্য তোমাদেরকে ধন্যবাদ। পাঠাগারের জন্য পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সাহায্য লাগলে আমার অফিসে যোগাযোগ করবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা