শারীরিক প্রতিবন্ধী ফারুক মিয়ার (৩৫) স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে চারজনের সংসার। বড় মেয়ের বয়স ৮, ছোটজনের বয়স ৫। শহরে ঘুরে পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী বিতরণ করেন। যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। খেয়ে না খেয়ে দিন যায় তাঁদের।
৪ এপ্রিল ফারুক মিয়ার পুরো পরিবারের জন্য ঈদের নতুন পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছে সুনামগঞ্জ বন্ধুসভা। উপহার পেয়ে তাঁর সারা দিনের ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত মুখে হাসি ফোটে ওঠে। ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিজের লাগি না, চিন্তাত আছলাম মেয়েরারে নিয়া। দুইটা মেয়েরই বায়না আছিল নতুন কাপড় কিইন্যা দেওয়ার। কিন্তু কোনো রকমই ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। ওখন বন্ধুসভার পক্ষ থাকি ঘরের সবার লাগি ঈদের নতুন কাপড় পাইয়া বড় খুশি অইছি।’
শুধু ফারুক মিয়া বা তাঁর পরিবার নয়, এদিন সুনামগঞ্জ বন্ধুসভার পক্ষ থেকে ১৫টি শিশুকে নতুন পোশাক এবং কয়েকটি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বন্ধুসভার বন্ধু এবং উপদেষ্টাদের অর্থে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। নতুন লুঙ্গি পেয়ে খুশি হন বাক্প্রতিবন্ধী আবদুল মছব্বির ও শারীরিক প্রতিবন্ধী নাজিম উদ্দিন। একজন অনাথ নারীকেও একটি শাড়ি দেওয়া হয়।
শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে এই পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান, বন্ধুসভার উপদেষ্টা রাজু আহমেদ, উপদেষ্টা রনজিত কুমার দে, নাট্যব্যক্তিত্ব সামির পল্লব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত বর্মণ, বন্ধু প্রদীপ পাল, শফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলম সিদ্দিকী, সভাপতি সৌরভ সরকার, সহসভাপতি রুবেল পাল, সাধারণ সম্পাদক তাজকিরা হক, বন্ধু জাকিরুল হক, সাহাব উদ্দিন, শেখ উম্মে মহুয়া, সাবরিন জাহান, ইন্দ্রাক্ষী দাস, রাজন রায়সহ অন্যরা।
সভাপতি, সুনামগঞ্জ বন্ধুসভা