সাহিত্য—শিল্পের এমন একটি অংশ, যা যথেষ্ট বৈচিত্র্যময় এবং অনেক বিস্তৃত। প্রত্যেক মানুষের চিন্তাচেতনার মতো তাদের সাহিত্যিক রুচির মধ্যেও রয়েছে ভিন্নতা। এই ভিন্নতাকে ভিত্তি করে ১৬ মে বিকেলে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘সাহিত্য আড্ডা’।
আড্ডায় উপস্থিত বন্ধুরা প্রত্যেকে নিজেদের পছন্দের সাহিত্যের ধারা, লেখক ও বই সম্পর্কে একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাঁদের পড়া বিভিন্ন প্রবন্ধ, সায়েন্স ফিকশন, উপন্যাস, গল্প, গোয়েন্দা গল্প, কবিতা ও খুদে গল্পের বই বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনার মধ্যে ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পসমগ্র’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আরণ্যক’, অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নন্দিত নরকে’ ইত্যাদি। বইগুলো নিয়ে বন্ধুরা নিজেদের অভিমত উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ছোটবেলায় বই পড়তে গিয়ে বিভিন্ন মজার ঘটনার বিষয়েও স্মৃতিচারণা করেন।
আলোচনার একপর্যায়ে বন্ধু আফিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘বই হলো জীবনের দর্শন। বই পড়তে গিয়ে আমরা নিজেদের জীবনদর্শনকে বারবার খুঁজে পাই।’
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক কামরান চৌধুরী তাঁর লেখক হয়ে ওঠার গল্প সবার সঙ্গে শেয়ার করেন।
বন্ধুরা বলেন, বর্তমানে মোবাইল, কম্পিউটারের মতো ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার কোথাও না কোথাও বই পড়ার প্রতি মানুষের ইচ্ছাকে কমিয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়গুলো ছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক কৌশিক দাশ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের উচিত তরুণ প্রজন্মকে গৎবাঁধা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অন্যান্য বই পড়তে উৎসাহিত করা, বই পড়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত একটি পাঠাগার স্থাপন এবং ঝিমিয়ে পড়া পাঠাগারগুলোর সংস্কারে উদ্যোগী হওয়া।’
কার্যনির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা