পল্লিকবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘নক্সীকাঁথার মাঠ’ জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটিতে স্থান পেয়েছে একটি গ্রামীণ পরিবেশে বোনা নকশিকাঁথার গল্প। একজন গরিব মেয়ে তার মায়ের কাছে একটি পুরোনো নকশিকাঁথা পেয়েছে, যা তার শৈশবের স্মৃতি এবং ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। কাঁথাটি পুরোনো এবং দিনহীন। কিন্তু এতে থাকা স্নেহ ও ভালোবাসা তার জীবনকে আবেগে ভরিয়ে তোলে।
কবিতার মাধ্যমে কবি গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও মানুষের সহজ–সরল সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরেছেন। কাব্যগ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যকে একটা নতুন দিগন্ত দেখিয়েছে। যেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবন ও আবেগকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
‘নক্সীকাঁথার মাঠ’ বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে ঝালকাঠি বন্ধুসভা। ২৯ জানুয়ারি বিকেলে জেলা শিশুপার্ক প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক মারজিয়া মিম।
প্রতিবারের মতো এবারও সেরা তিন পাঠক বন্ধুকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁরা হলেন সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাব্বির হোসেন ও হাবিবা খাতুন।
পাঠচক্র শেষে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার শুভ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি বীথি শর্মা বনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত মাঝি, সাংগঠনিক সম্পাদক রোহান বিন নাসির, দপ্তর সম্পাদক সীমান্ত হিয়া, অর্থ সম্পাদক শাহারিয়ার সিমান্ত, প্রচার সম্পাদক মো. রাফি, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক সোহান খান, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া আক্তার, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক সিয়াম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাকিল হাওলাদার, বন্ধু উজ্জল দুয়ারীসহ অন্যান্য বন্ধুরা।
সহসভাপতি, ঝালকাঠি বন্ধুসভা