ছেলেটির নাম জুনায়েদ। বরিশালের আমিন কলোনির এক ঘুপচি ঘরে তাদের বসবাস। দিনমজুর বাবার কাছে আবদার করেছিল ঈদের জন্য নতুন জামা। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে এই সামান্য আবদারই যে বাবার কাছে পাহাড়সম হয়ে ওঠে, তা ছোট্ট শিশু বুঝতে পারেনি।
অল্প বয়সে বাবাকে হারায় ফুলি। তার মা বলেন, ‘এবারের ঈদে মেয়েটার মুখে একটু সেমাই–পায়েস তুলে দিতে পারব কি না, তা বলতে পারি না। ঈদের জামা তো আমাদের জন্য আকাশকুসুম ব্যাপার।’
১২ মার্চ জুনায়েদ ও ফুলির মতো এমন শিশুদের রঙিন জামা ও তাদের পরিবারের জন্য ঈদের খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ইদ্রিস মিয়া বন্ধুসভার বন্ধুদের কাছে অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের সময় এলেই মনটা কেমন ভার ভার লাগে। চারপাশে পড়শিদের ছেলেমেয়েরা ঈদে কত আনন্দ করবে, আর আমার ছেলেমেয়ে নতুন জামার অভাবে মনমরা হয়ে থাকবে।’ বন্ধুসভার বন্ধুদের উপহার পেয়ে ইদ্রিস মিয়ার মনের ভার দূর হয়ে যায়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেনা রানী বিশ্বাস, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইমা আক্তার, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন শিপন, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু জিহাদ ও একই বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম রহমান।
বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি পূঁজা রায়, সহসভাপতি উপমা দত্ত, মোরশেদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাহেদ শাহারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীপ দত্ত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক পিয়াস রহমান, অর্থ সম্পাদক মাহিন ফয়সাল, বইমেলা সম্পাদক নুসরাত জাহান, ম্যাগাজিন সম্পাদক ফারহানা হুমাইরা, কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সাইফ উদ্দিন।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা