ঢাবি বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী’

পাঠচক্র শেষে ঢাবি বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে প্রাথমিক একটি সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য হুমায়ুন আজাদের ‘লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী’একটি আকর গ্রন্থ। ‘চর্যাপদ’ থেকে শুরু করে আধুনিককাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের পথচলা ২৮টি অধ্যায়ে সুললিত গদ্যে এই বইয়ে উপস্থাপন করেছেন লেখক।

বাংলা সাহিত্যের পথপরিক্রমার বিভিন্ন ধাপকে হুমায়ুন আজাদ বিভিন্ন অধ্যায়ে অসাধারণ সব নাম দিয়েছেন। যেমন: ‘প্রথম প্রদীপ: চর্যাপদ’, ‘মনসামঙ্গলের নীল দুঃখ’, ‘লোকসাহিত্য বুকের বাঁশরি’, ‘গদ্য: নতুন সম্রাট’, ‘কবিতা: অন্তর হতে আহরি বচন’, ‘নাটক: জীবনের দ্বন্দ্ব’, ‘উপন্যাস: মানুষের মহাকাব্য’, ‘রবীন্দ্রনাথ: প্রতিদিনের সূর্য’ ইত্যাদি। শিরোনামগুলো সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বইটি মূলত কিশোরদের জন্য লেখা। তবে বড়রাও বইটি পড়ে সমান আনন্দ পাবেন। ‘লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী’ এমন একটি বই যা ছোট-বড় সাহিত্যপ্রেমী সব মানুষের সঙ্গী হতে পারে।

ঢাবি বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: বন্ধুসভা

১৯ জানুয়ারি হুমায়ুন আজাদের বইটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে ঢাবি বন্ধুসভা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আনমুন জেসমিন।

শুরুতেই লেখকের জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বন্ধু ইয়াসির আরাফাত। ‘লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী’ বইটি নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু সাব্বির আহমেদ, খাদিজাতুল কোবরা ও ইয়াসির আরাফাত।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মেহেদী হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইশিতা জাহান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আহসান হাবীব। পাঠচক্র শেষে সেরা আলোচনার জন্য ইয়াসির আরাফাত ও সাব্বির আহমেদকে পুরস্কৃত করা হয়।