ঈদ–আনন্দে রাঙা উৎসব

মেহেদি রাঙা হাত দেখাচ্ছে শিশুরা
ছবি: বন্ধুসভা

গ্রীষ্মের দুপুর। প্রায় জনশূন্য পার্কে গুটিকয়েক লোকের পেছন পেছন ঘুরে ফুল বিক্রির চেষ্টা করছিল রেহানা। আমাদের দেখেই ছুটে এল। ‘আপু তুমার হাতো কী?’
‘মেহেদি। তুমি দিবা হাতে?’
‘হ দিমু, আমার ভাইও আছে, ওরেও দিয়া দিবা?’
‘হ্যাঁ, দিয়ে দিব, সবাইকে নিয়ে আসো।’

ঈদ বলতেই নতুন জামা, মজার খাবারের পাশাপাশি আরেকটা যে বিষয় আনন্দ বাড়ায়, সেটা হচ্ছে, হাতে মেহেদি দেওয়া। ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির পর ২০ এপ্রিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে আয়োজন করে ‘ঈদ-আনন্দে রাঙা উৎসব’। মেহেদি হাতে দেওয়া নিয়ে শিশুদের আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।

‘আমি দিমু, আমি আগে দিমু!’ কার আগে কে দেবে, এ নিয়ে তাদের মিষ্টি খুনসুটি যেন আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের আগ্রহও কম ছিল না। এমনকি বৃদ্ধারাও বলছিলেন, ‘খালা, খালি ওগোরেই দিয়া দিবাইন? আমগোরে কি মুনে দরে না?’ রাঙিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের হাতও।

শিশুদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী হাতে নকশা করে দেওয়া হয়। কারও চাওয়া হাতে ফুল এঁকে দিতে হবে, কারও পাখি, কারও ঘর, কারও ঈদ মোবারক। ছোট্ট শিশু আবদুল্লাহ বলে, ‘আপু আমালে ঘল (ঘর), চামুচ, কাতা চামুচ (কাঁটা চামচ) আইকা দিবা?’ তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে এ নকশাই করে দেওয়া হয়। সে ভীষণ খুশি!

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার দপ্তর সম্পাদক হিমিকা আজিজ, বন্ধু ইফফাত আরা মেহেজাবীন, ফারদিনা নুসরাত, ইমু আক্তার, শ্রাবণী রানী সরকারসহ অন্য বন্ধুরা।

সভাপতি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা