শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও জ্ঞানভিত্তিক জাতি গড়ে তুলতে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ভূমিকা অপরিসীম। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে সারা দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হতে যাচ্ছে পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব ২০২৩।
এবারে সারা দেশে ৩৫টি অঞ্চল ও রাজধানীতে ৫টি আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হচ্ছে এ আয়োজন। ৩ মে এ উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। আগামী তিন মাসে বিভিন্ন পর্বে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্ক হবে সনাতনী পদ্ধতিতে। এর আগে ২০১৮ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সেরা বিতার্কিকদের তুলে আনাই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
পুষ্টি টি কে গ্রুপের একটি ব্র্যান্ড। প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ থেকেই এ আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিতার্কিকেরাই ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সচেতন প্রজন্ম তৈরি করাই আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য।
প্রস্তুতি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও বন্ধুসভার পৃষ্ঠপোষক আনিসুল হক, বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সভাপতি উত্তম রয়, সহসভাপতি সাইদুল হাসান, বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি হাসিনা মোস্তাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ সম্রাট, প্রথম আলোর ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অরূপ কুমার ঘোষ, বিতর্ক উৎসবের সমন্বয়ক সাইদুজ্জামান রওশন এবং প্রথম আলোর হেড অব কালচারাল অ্যাফেয়ার্স কবির বকুল।
ঢাকার বিভিন্ন বন্ধুসভার বন্ধুরা এ উৎসব নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন প্রস্তুতি সভায়। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে দক্ষ বিতার্কিকদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হওয়ার প্রত্যাশা করেন তাঁরা। এ ছাড়া আয়োজন শুধু বিতর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; এটা জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও আনন্দের জাতীয় উৎসবে পরিণত হবে।