জাগো নারী, জাগো বহ্নিশিখা

অনুষ্ঠান শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

একজন নারীর বুদ্ধিমত্তা, সাহস, ব্যক্তিত্ব ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব কোনো অংশে পুরুষের থেকে কম নয়। আর তা বর্তমান যুগের আধুনিক প্রেক্ষাপটে প্রমাণিত এক সত্য।

নারীদের প্রেরণা জোগাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজন করেছে ‘জাগো নারী, জাগো বহ্নিশিখা’ শিরোনামে এক আলোচনা সভার। ১০ মার্চ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ভিসি রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল বহ্নিশিখা গ্রীন ভয়েস।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক অনুরাধা পাল, গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ফাহমিদা নাজনীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধু নাঈমা আক্তার রিতা, বাবুল হোসেন, গ্রীন ভয়েসের সহসমন্বয়ক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

জবি বন্ধুসভার বইমেলা সম্পাদক রোকসানা মিতুর সঞ্চালনায় প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অতিথিরা। পরে তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বন্ধুরা। অতিথিরা নারী দিবস নিয়ে বন্ধুর গল্প এবং নারীদের জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। পাশাপাশি অনলাইনে মেধা উন্মেষণ-২০২৩ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

জবি বন্ধুসভার সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘একজন নারীকে নিজের অধিকারবোধ বুঝে নিতে হলেও শিক্ষিত হতে হবে। সন্তানদের মধ্যে ভেদাভেদের বীজ রোপণ পরিবার থেকেই বন্ধ করতে হবে। তাদের অনুভব দিতে হবে যে সে একজন ছেলে বা মেয়ে, শিশু নয়। সে একজন মানুষ। এমন একদিন আসুক, যেদিন নারীর জন্য আলাদা কোনো দিবসের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে। নারী সম্মানিত হোক সব ক্ষেত্রে।’

সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান লিমন বলেন, ‘শুধু নারী দিবস বলেই একটি নির্দিষ্ট দিনে আমরা নারীদের নিয়ে ভাবব, তাকে সম্মান দেব, তা কিন্তু নয়। আসুন, আমরা নারীকে তার যথাযথ সম্মান দিই। নারীকে দিই তার সদিচ্ছা পূরণের অধিকার। তাকে ভাবতে শিখি স্বতন্ত্র একজন মানুষ হিসেবে।’

সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা