শিশুদের নিয়ে ফল উৎসব করল পটিয়া বন্ধুসভা

পটিয়া বন্ধুসভার ফল উৎসবছবি: বন্ধুসভা

আষাঢ়ের আকাশে তখন মেঘের লুকোচুরি খেলা। বৃষ্টিস্নাত হলেও গতকাল শনিবার সকাল থেকে কিছুটা আবছা রোদের দেখা মেলে। চট্টগ্রামের পটিয়া বন্ধুসভার বন্ধুরা বর্ষার উষ্ণতায় এই মৃদু রৌদ্রছায়ায় এদিন বিকেলে শিশুদের নিয়ে ফল উৎসবের চমৎকার আয়োজন করেন।

এই শিশুদের কারও বাবা রিকশাচালক, কারও বাবা দিনমজুর, জেলে কিংবা অন্যের কৃষিজমিতে চাষাবাদ করে জীবন অতিবাহিত করেন। অধিকাংশই পটিয়ার করল গ্রামের জেলেপল্লির বাসিন্দা। অন্যদের বাড়ি আশপাশের গ্রামগুলোয়।

দুপুরের পরপরই পটিয়া থানার মোড় থেকে বিভিন্ন ফল ও অন্যান্য সামগ্রী কেনেন বন্ধু সূফি মোহাম্মদ রেজা, তানাস চৌধুরী, তানিয়া আকতার, জয় দে ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবদুর রাজ্জাক। ফলের মধ্যে ছিল আম, কাঁঠাল, লটকন, আনারস ও পেঁপে।

বিকেলে পটিয়া ক্লাবে সহসভাপতি ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় ফল উৎসবের আমেজ শুরু হয়। সংগীত পরিবেশন করেন সাধারণ সম্পাদক আইরিন সুলতানা ও সহসভাপতি রানা হামিদ।

শিশু বিশাল দাস জানায়, উৎসবে এসে খুব খুশি সে। অনেক ফল একসঙ্গে খেতে পেরেছে।
আরেক শিশু কিশোর দাস জানায়, একসঙ্গে এত ফল কখনো খাওয়া হয়ে ওঠে না। এ সময় তার চোখেমুখে উচ্ছ্বাস ফুটে ওঠে।

উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী শেখ আলমগীর আলম। তিনি বন্ধুসভার অসাধারণ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘শিশুদের সঙ্গে এ উৎসবে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে।’

ফল উৎসব শেষে পটিয়া বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

উপদেষ্টা রশীদ এনাম শিশুদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা আগামী দিনের উদিত সূর্যোদয়ের উজ্জ্বল আলোর বিকিরণ। শতকষ্টের মধ্যে থাকলেও ঠিকমতো লেখাপড়া করতে হবে। বন্ধুদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন এই শিশুদের সব সময় খোঁজখবর রাখেন।’

বিভিন্ন ফলের পরিচয় ও গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবদুর রাজ্জাক।
ব‍্যাংকার হামীম রায়হান সৃজনশীল কার্যক্রমের বিবরণ ও বন্ধুসভার সুন্দর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা প্রান্ত চৌধুরী, নিউটন দে, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম আলী, শচীন দে, তথ‍্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, বন্ধু সাইফুদ্দিন রাকিবসহ অন্য বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, পটিয়া বন্ধুসভা