নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটগল্পগুলো যেন সমাজবাস্তবতার দলিল
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্প সৃষ্টিতে অভিনব বিষয়বস্তু যুক্ত করেছেন, যা সমাজের মানুষের চেতনায় ভিন্নতা ভাবায়নে সহায়ক শক্তি। তাঁর ছোটগুল্পগুলোর মূলে রয়েছে ভারতবর্ষের বাস্তব অবস্থা এবং গল্পগুলো তৎকালের বিশ্বস্ত দলিল হিসেবে পরিগণিত। বাংলার নিসর্গ প্রাকৃতিক বর্ণনার আড়ালে সমাজজীবনের সত্যকে নির্মোহভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। বাংলার (৪৩) মন্বন্তরকালীন মানুষের ক্ষুধা যে কত ভয়ার্ত ও নগ্ন, তা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক।
২৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নির্বাচিত ছোটগল্প’ বই নিয়ে পাঠচক্র করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে আলোচক হিসেবে ছিলেন শাবিপ্রবি বন্ধুসভার উপদেষ্টা অধ্যাপক জায়েদা শারমিন। তিনি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পের সময়ের সঙ্গে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির তূলনামূলক আলোচনাসাপেক্ষে মানুষের গভীর বেদনা তুলে ধরেন।
বন্ধু তৌকি ইয়াসির নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘টোপ’ গল্পের সাপেক্ষে বর্তমানকে সহাবস্থানে রেখে নৈতিকতার দিকটি তুলে ধরেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, মানব শিশুকে ফাঁদ করে রাজাবাহাদুর কীভাবে অমানবিক ও নৃশংস নৈতিক অবক্ষয়ের পরিচয় দেন।
পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, মো. আলামিন, মোস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল হাসান, জনি জান্নাত, সুমি আক্তার, সাবিনা আক্তার, ইয়ারমিন আক্তার, হুমায়রা হিরা, নুর হাসনাত, তৌকির সান ও কাজী জান্নাত।