আনন্দ-উচ্ছ্বাসে, পতেঙ্গা ফয়’স লেকে

চট্টগ্রাম ফয়স লেকের সামনে বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

ভ্রমণ বরাবরই আনন্দের এবং স্মৃতিচারণা করার মতো মূহর্ত। আর যদি ব্যাপারটা হয় প্রথম আলো বন্ধুসভার ভ্রমণপিপাসু বন্ধুদের নিয়ে, তাহলে আর আলাদা করে কিছুই বলার থাকে না। বছরের শুরুর দিকেই বেশ কিছু কার্যক্রম এবং সভার পর একঘেয়ে ভাব কাটাতে এক দল বন্ধু নিয়ে ১ মার্চ নোয়াখালী বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘আনন্দ উচ্ছ্বাসে, পতেঙ্গা ফয়স লেকে’ শিরোনামে আনন্দভ্রমণ।

এদিন ভোর সাড়ে ছয়টায় ফয়’স লেকের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। সবার উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি সিফাত বিল্লাহ, সহসভাপতি আবু তাহের, উপদেষ্টা কামাল হোসেন, লায়লা পারভিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাকিব।

যাত্রাপথে বন্ধুরা গানে গানে পরিবেশকে আনন্দমুখর করে তোলেন। পথিমধ্যে কিছু সময় যাত্রাবিরতি রাখা হয়। যে যার যার মতো চা-কফি, নাশতা শেষে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসে ফিরে আসেন। ছিল র‌্যাফল ড্রর আয়োজন। সবাই বেশ উৎসাহের সঙ্গে সেগুলো কেনেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুদের বহনকারী বাসটি ফয়’স লেকে পৌঁছায়। বিভিন্ন প্রকার রাইড উপভোগ করেন সবাই।

বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে স্মৃতি সংরক্ষণ
ছবি: বন্ধুসভা

এরপরই বন্ধুরা সি-ওয়ার্ল্ডের উদ্দেশে নৌকায় চড়ে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছে সবাই মিলে বিভিন্ন পানির রাইড আর ওয়েব সেশন উপভোগ করেন। দীর্ঘক্ষণ মজা করার পর সূর্য যখন মধ্য আকাশ থেকে সরে ধীরে ধীরে পশ্চিমে হেলে পড়ছে, ততক্ষণে সবারই খিদে লেগে গেছে! পাশেই একটি রেস্টুরেন্টে আগে থেকেই খাবার প্রস্তুত করা ছিল। খাবার খেয়ে কিছুটা সময় সবাই আশপাশে ঘুরে দেখেন এবং ছবি তোলেন। পরের গন্তব্য পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত।

পতেঙ্গায় যাওয়ার জন্য সবাই আবার নৌকায় চড়ে ফয়’স লেক থেকে বের হয়ে বাসে ফিরে আসেন। বাস ছেড়ে যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। মাঝের এই সময়ে বন্ধুরা রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও পপসংগীতের তালে মেতে ওঠে। কেউ কেউ আবার খানিক ঘুমিয়ে নেন। পতেঙ্গায় পৌঁছানোর পর সবার জন্য ছিল বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন। খেলা শেষে সমুদ্রপারে সূর্যাস্ত দেখা! সুন্দর এ মুহূর্ত বন্ধুরা গানে গানে আর চা–আড্ডায় কাটিয়ে দেন।

মন তো চাইবে না ফিরতে, কিন্তু এবার যে ফেরার পালা। সবাই একে একে বাসে ফিরে আসেন। বাসেই সন্ধ্যাকালীন নাশতা দেওয়া হয়। বন্ধুসভার আয়োজন বলে কথা, আনন্দ আয়োজনের অভাব হবে কী করে? বাসে আবার শুরু হয় ‘ফানবক্স’ নামে একটা মজাদার পর্ব। যেখানে একজন বন্ধু ৫০০ টাকা জিতে নেন পুরস্কার হিসেবে। র‌্যাফল ড্র ও খেলাধুলায় বিজয়ীদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। এ পর্ব শেষ না হতেই আরেকটা চমক নিয়ে হাজির সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ ও সভাপতি সিফাত বিল্লাহ। তাঁরা গত দুই মাসের সব কার্যক্রমের ভিত্তিতে তিনজন বন্ধুকে সেরা হিসেবে ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মো. শিমুল (সেরা স্বেচ্ছাসেবক), মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফরিনা আনিকা (সেরা পাঠক) ও পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাজকির হোসেন (সেরা বন্ধু)।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা