চট্টগ্রাম বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘উৎসব’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
জাহাঙ্গীর, ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাজসজ্জা ব্যবসায়ী এবং ইভেন্ট ম্যানেজার। শান্তিনীড় এলাকায় থাকেন। স্বার্থপর, বন্ধুত্বহীন এবং অন্যের সুখের প্রতি উদাসীন থাকার জন্য সে ব্যাপক অপছন্দের। জাহাঙ্গীর নিয়মিত স্থানীয় যুবকদের সংগীতের আসরে ব্যাঘাত ঘটায়, পশুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, বিদ্যুৎ চুরি করে এবং সাহায্যপ্রার্থী এতিমদের ফিরিয়ে দেয়। যার কারণে তার নাম এলাকায় পরিচিতি পায় ‘খাইষ্টা জাহাঙ্গীর’ হিসেবে।
এই অপ্রীতিকর রুটিন তার জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত। সেই রাতে, জাহাঙ্গীর এক অদ্ভুত ভূতের মুখোমুখি হয়। যে ভূত তাকে তার নিজের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পথ দেখায়। কী এমন করেছিল সেই ভূত, যার কারণে খাইষ্টা জাহাঙ্গীর হঠাৎ সবার প্রিয় হয়ে ওঠে?
সেটি জানতেই ১০ অক্টোবর বিকেলে বন্ধুরা হাজির হন চট্টগ্রাম বন্ধুসভার কক্ষে। প্রদর্শন করা হয় তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ চলচ্চিত্র। ছবিটি বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে নির্মিত।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক কামরান চৌধুরী বলেন, ‘উৎসব’ দেশের সুস্থ ধারার একটি চলচ্চিত্র। বহুদিন পর দেশে এমন সুন্দর একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সমাজের কাছে সুন্দর কিছু বার্তা প্রদান, গুণী অভিনয়শিল্পীদের অভিনয়, ৯০ দশকের কিছু দৃশ্য—সব মিলিয়ে পরিপূর্ণতা পেল এই চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি সব সময় দশর্কের পছন্দের তালিকায় থাকবে।
কার্যনিবার্হী সদস্য জয় চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান সময়ে বিনোদনের অনেকগুলো মাধ্যম তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম চলচ্চিত্র। তবে অ্যাকশন, থ্রিলার আর সংঘাতপূর্ণ সিনেমাই তৈরি হচ্ছে বেশি। পরিবার ও শিশুদের নিয়ে উপভোগ্য কনটেন্ট খুবই কম হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে বলা যায়, ‘উৎসব’ মানসম্মত একটি চলচ্চিত্র।
বন্ধু ইনজামাম ইসলাম বলেন, আজকালকার সিনেমাগুলো এমন যে পরিবারসহ দেখা নিষেধ; ঠিক সেই মুহূর্তে ‘পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ’ শিরোনামে প্রদর্শনী হওয়া উৎসব আসলেই খুব উপভোগ্য ছিল।
এই আয়োজনের সমন্বয়কারী ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক ইনজামাম ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক সাকিব জিশান।
প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা