বাংলা কথাসাহিত্যের কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস ‘ফিহা সমীকরণ’। বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে ভৈরব বন্ধুসভা। ১ জুন প্রথম আলো ভৈরব অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ভৈরব বন্ধুসভার ১৯৪তম পাঠচক্র।
মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আফিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুরুতেই লেখকের জীবন ও সাহিত্যভুবনের পরিচয় তুলে ধরেন বন্ধু হাবিব উল্লাহ।
উপন্যাসটির বিশ্লেষণে অংশ নেন সাংগঠনিক সম্পাদক রাহিম আহমেদ ও জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক মহিমা মেধা। তাঁরা ভবিষ্যতের এক বিভক্ত সমাজব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন—এক পাশে সাধারণ মানুষ, অপর পাশে মানসিক শক্তিতে সক্ষম ‘মেন্টালিস্ট’ শ্রেণি। এই দুই পৃথিবীর সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে ফিহা; এক মানবতাবাদী পদার্থবিদ, যিনি প্রশ্ন তোলেন প্রযুক্তি ও বিবেকের সীমারেখা নিয়ে।
উপন্যাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট ‘পাঠক’-এর আবেগময় অস্তিত্ব পাঠকদের মনে গেঁথে যায়। আর নুহাশ নামের যুবতীর আবির্ভাবে গল্পে জন্ম নেয় মমতার নতুন ব্যাকরণ।
গ্রন্থ আলোচনার শেষে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা বলেন, ‘উপন্যাসের সমাপ্তি পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।’
সাবেক সভাপতি নাহিদ হোসাইন মন্তব্য করেন, ‘এ যেন প্রযুক্তি ও মানবতার সম্পর্কের এক অনবদ্য সমীকরণ।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সুমাইয়া হামিদ, সহসভাপতি আফিসা আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিস রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা, মানিক আহমেদসহ অন্য বন্ধুরা। সভাপতি জান্নাতুল মিশুর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে পাঠচক্রের সমাপ্তি ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা