প্রেম ও মনস্তত্ত্বের জটিল রূপরেখা ‘দিবারাত্রির কাব্য’

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

বাংলা সাহিত্যাকাশে মানিকের মতো উজ্জ্বল যাঁর নাম, তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা কথাসাহিত্যের একজন শক্তিমান লেখক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে গল্প লিখে পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর লেখালেখিতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েন যে দুবার বিএসসি পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি। একাডেমিক পরীক্ষায় বিএসসি ফেল হলেও বাংলা সাহিত্যে সৃষ্টি করেছেন এক বৈপ্লবিক ধারা। অন্তর্ভেদী অবলোকনের মাধ্যমে নিজের লেখায় জীবনকে নিংড়ে তুলে এনেছেন।

লিখেছেন ‘জননী’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র মতো দারুণ সব উপন্যাস। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ‘অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প’ হলেও প্রথম লেখা উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’। এটি মানিকের তুমুল আলোচিত ও সমালোচিত একটি উপন্যাস। প্রেম ও মনস্তত্ত্বের যে জটিল রূপরেখা এতে এঁকেছেন, আজও তা নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গত ৩০ জানুয়ারি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিবারাত্রির কাব্য’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে নোবিপ্রবি বন্ধুসভা। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নিচতলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা করেন সহসভাপতি ইসরাত জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দে, অর্থ সম্পাদক সানজিদ মুনতাসির, সভাপতি আবু রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা। এ সময় উপস্থিত অন্য বন্ধুরাও অভিমত ব্যক্ত করেন।

পাঠচক্রের আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ঊর্মি বণিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে মেহেরুন সরকার, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নকীবুল হক, ম্যাগাজিন সম্পাদক সানজিদা ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য খোশনূর আক্তারসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা