সিলেটের চারটি বন্ধুসভার যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষ উৎসব

বৃক্ষ উৎসবে সিলেটের চারটি বন্ধুসভার বন্ধুদের একাংশছবি: বন্ধুসভা

বর্তমানে পৃথিবীর বনাঞ্চলের তিন ভাগের এক ভাগ গাছপালা ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেছে, যা বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি প্রাথমিক কারণ। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে গাছপালা রক্ষা করা ও গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন।

‘আমার মাটি আমার দায়, গাছ রোপণে বাঁচা যায়’ প্রতিপাদ্যে ব্র্যাক মাইক্রোফিন্যান্সের সহযোগিতায় সিলেটের চারটি বন্ধুসভা মিলে বৃক্ষ উৎসব করেছে। বন্ধুসভাগুলো হলো সিলেট, এমসি কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। ২৬ আগস্ট দিনব্যাপী সিলেটের চাঁদনীঘাটে (কিন ব্রিজের নিচে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

কয়েকটি সংগঠন ও পথচারীদের মধ্যে ২ হাজার ৮০০টি চারাগাছ বিতরণ করা হয়
ছবি: বন্ধুসভা

উৎসবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে সিলেটের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকটি সংগঠন ও পথচারীদের মধ্যে ২ হাজার ৮০০টি চারাগাছ বিতরণ করা হয়। চারাগাছের মধ্যে ছিল আম্রপালি ৪০০টি, আমলকী ২৫০, লেবুগাছ ৯০০, শজনেগাছ ১ হাজার ১০০, কদমগাছ ৭০ ও করচগাছ ৮০টি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল করিম ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাসিত। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শামসুল বাসিত বলেন, ‘পরিবেশ ভালো রাখার মূল কাজটিই হচ্ছে বৃক্ষরোপণ। যদি এটি আমরা সুন্দরভাবে করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে।’

সিলেটের চারটি বন্ধুসভার যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষ উৎসব
ছবি: বন্ধুসভা

বৃক্ষরোপণকারী ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্দেশে আব্দুল করিম বলেন, ‘আপনারা বৃক্ষরোপণ করার পাশাপাশি বৃক্ষগুলো ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না, সে বিষয়ে নজর রাখবেন। কেউ যদি অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করে, তাহলে প্রতিবাদ করবেন।’

উৎসবে আরও বক্তব্য দেন বন্ধু শাহ সিকান্দার শাকির, সমীর বৈষ্ণব, সুমন মিয়া, ঝর্না দাস, শাফিন আহমেদ ও দেব রায় সৌমেন। সঞ্চালনা করেন বন্ধু ফারিহা ফিমা।