আইজ থেকে কম্বল গায় দিয়া ঘুমাইতে পারব

ফরিদপুরে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ
ছবি: বন্ধুসভা

‘যে শীত পড়ে চরে কয়েক দিন সারা রাত নাড়া জ্বালাইয়া বইসা থাকতে হইছে। গরিব মানুষ চরের এক কোনায় পইড়া থাকি। কেউ তেমন খোঁজও নেয় না। আইজ থেকে কম্বল গায় দিয়া ঘুমাইতে পারব।’ বন্ধুদের দেওয়া উপহারের কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এসব কথা বলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের আলেপ খার ডাঙ্গী গ্রামের ৭৪ বছর বয়সী নূরজাহান বেগম।

১৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চর সালধা, কবিরপুর আশ্রয়ণ এলাকা, আদম মোল্লার ডাঙ্গী, গোলডাঙ্গী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা, রশিদ মুন্সীর ডাঙ্গী, আলেপ খার ডাঙ্গী ও মিশুক মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার শতাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে ফরিদপুর বন্ধুসভা। লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সহায়তায় এসব বিতরণ করেন বন্ধুরা।

আদম মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের মইনুদ্দিন ব্যাপারী (৬৬) বলেন, ‘এইবার শীতে অনেক কষ্ট পাইছি। এইবার কম্বল মুড়ি দিয়া ঘুমাইতে পারব। তোমরা কষ্ট কইরা চর পার হইয়া আমাগো কাছে আইছ। এই জন্যি তোমাগো ম্যালা দোয়া দিলাম।’

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ফরিদপুর শাখার ব্যবস্থাপক আমির হামজা বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল প্রকৃত অসহায় মানুষের মধ্যে যেন কম্বলগুলো তুলে দিতে পারি। ফরিদপুর বন্ধুসভার সহায়তায় প্রকৃত দুস্থদের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে স্বস্তি লাভ করছি।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ‘এই দুর্গম চর এলাকার মানুষ বন্যার সময় পানিতে ভাসে, শীতের সময় কষ্ট পায়। এই চরে কোনো লোকই কম্বল বিতরণ করতে আসে না। সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো কম্বল পেল। এর ফলে তাদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।’

বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের খরচে শীতবস্ত্র অটোবাইক ও ট্রলারে নদী পাড়ি দিয়ে বিতরণস্থলে নিয়ে যান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ফরিদপুর শাখার কর্মকর্তা ইলিয়াস পারভেজ, ফরিদপুর বন্ধুসভার সভাপতি মানিক কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব দত্ত, অর্থ সম্পাদক লক্ষণ মণ্ডল এবং পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুব্রত পাল।

সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর বন্ধুসভা