‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় পড়ার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু মাকে ছেড়ে থাকতে হবে ভেবেই দম বন্ধ লাগছিল। মাকে ছেড়ে থাকতে পারব না বলে আর ভর্তি হওয়া হইনি সেখানে।’ মা দিবসে মাকে নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কথাগুলো বলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। এ বছর ১১ মে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে নোয়াখালী বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘মাকে নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ’ অনুষ্ঠান। অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধু মহিউদ্দিন রাতুল বলেন, ‘মাকে হারিয়েছি বেশি দিন হয়নি। তাঁকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। ভেবেছিলাম পড়াশোনা শেষ করে মায়ের প্রতিটি স্বপ্ন পূরণ করব। আজ পড়াশোনা শেষ হলো, সফলতাও এল জীবনে; কিন্তু স্বপ্নগুলো পূরণ করার মতো হলেও মা নেই পাশে।’
সহসভাপতি জেরিন ফাহমিদা বলেন, ‘একটা দীর্ঘ সময় মাকে ছেড়ে নানার বাসায় থাকতে হয়েছে। বলতে গেলে কখনোই তেমন করে মায়ের আদর–স্নেহ পাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে সব সময় মাকে ভালোবেসেছি, আজও ভালোবাসি।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক নাফিস আহমেদ বলেন, অসুস্থ হলে মায়ের গুরুত্ব বোঝা যায়। সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো, শত ব্যস্ততার পরও সন্তানের ভালো–মন্দের দিকে খেয়াল রেখে ঠিক সময়ে খাবার তৈরি করতে কেবল মায়েরাই পারে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব ভূঁঞা বলেন, ‘কখনো পরিবার ছেড়ে, মাকে ছেড়ে বাড়ির বাইরে দীর্ঘ সময় থাকা হয়নি। বর্তমানে পড়াশোনার জন্য মেসে থাকতে হচ্ছে। রান্না করার সময় মায়ের শূন্যতা প্রতিনিয়ত আমায় মনে করায়।’
সভাপতি উম্মে ফারহিন বলেন, ‘মা মানেই শক্তির অফুরন্ত আশ্বাস। মায়ের আঁচলেই লুকিয়ে থাকে সব দুঃখ-কষ্টের শেষে সুখের অনুভূতি। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের মাকে ভালোবাসি। মা দিবসে পৃথিবীর সব মা ভালো থাকুক। পৃথিবীর সব সন্তান সুখী হোক।’
সাংগঠনিক সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা