এই হাসি দেখতেই বন্ধুদের এত আয়োজন

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার পৌঁছে দেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

প্রতিবছরের মতো এবারও কোমলমতি শিশু ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির আয়োজন করে ঝিনাইদহ বন্ধুসভা। ৪, ৫ ও ৬ এপ্রিল বন্ধুসভার বন্ধুরা জেলা শহর ও আশপাশের এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৬ শিশু–কিশোরকে নতুন জামা ও ১৬টি পরিবারকে ঈদের খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন।

৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় বন্ধুরা ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হন ঝিনাইদহের ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পে। সেখানে তাঁবুর মধ্যে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারকে ঈদের বাজার ও বাচ্চাদের নতুন জামা উপহার দেন বন্ধুরা। ঘরবাড়ি নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া এক পরিবারের ছোট মেয়ে শাকিলা (৯) নতুন জামা পাওয়ার পর বলে, ‘তোমরা কি ভালো মানসি নাকি? আমার জামা দেচ্ছো!’

একই পরিবারের সুমনা খাতুন (৪০) বলেন, ‘দুই বছর হলো শাকিলার বাপ মরে গেছে। তার পর থেকে মানুষের বাড়ি গিয়ে কাজ করে খাই। অল্প কিছু টাকা পাই, তাই দিয়ে তাঁবুতে কোনো রকম আছি। ওর বাপ মরে যাওয়ার পর থেকে ওকে নতুন জামা দিতে পারিনি। এবার নতুন জামা পেয়ে খুব খুশি হবিনি শাকিলা।’

আবাসন প্রকল্প ছাড়া ৫ ও ৬ এপ্রিল শহরের আশপাশের এলাকার কয়েকটি স্থানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বন্ধুরা ঈদ উপহার পৌঁছে দেন।

ঝিনাইদহ বন্ধুসভার সভাপতি ফিরোজ হোসেন বলেন, বন্ধুদের সৎ ও মানবিক মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ হলো সহমর্মিতার ঈদ।
সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বন্ধুসভা সব সময় মানবিক কাজ করে থাকে। কোমলমতি শিশু ও তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারাতেই আমাদের সার্থকতা।’

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার পৌঁছে দেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

আহ্বায়ক সাব্বির রহমান বলেন, ‘বন্ধুসভার বন্ধুরা তাঁদের ঈদের খরচ বাঁচিয়ে কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন। এই হাসি দেখতেই বন্ধুসভা প্রতিবছর এমন আয়োজন করে।’

উপহার বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধু আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিসান আহাম্মদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিমুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক রাতুল হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ফারদিন আহম্মেদ, জেন্ডার-সমতাবিষয়ক সম্পাদক ফাহিম আবরারসহ অন্য বন্ধুরা।

সহসভাপতি, ঝিনাইদহ বন্ধুসভা