আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

শ্রমিক দিবসে ভৈরব বন্ধুসভার আলোচনা সভা
ছবি: প্রিয়াংকা

পয়লা মে ছিল আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ১৮৮৬ সালের ৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব মে দিবস পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি ঘিরে ১ মে ভৈরবসভার বন্ধুরা প্রথম আলো ভৈরব আঞ্চলিক অফিসে আলোচনা সভা করেছেন। সেখানে উঠে আসে তৎকালীন সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ও দিবসটির তাৎপর্য।

সভাপতি নাহিদ হোসাইন তাঁর আলোচনায় বলেন, আন্দোলন ছাড়া কখনো বিপ্লব হয় না। সেদিনের আন্দোলনের ফলেই আজ সারা বিশ্বের শ্রমিকেরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেতন হয়েছেন। মে দিবসের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে যে বৈপ্লবিক সূচনা হয়, তাতে কমে আসে সামাজিক শ্রেণি-বৈষম্য। তেমনি একজন বিপ্লবী হলেন জন হেনরি। ৬ ফুট দীর্ঘ আর ২০০ পাউন্ড ওজনের হেনরি যেকোনো শক্ত কাজ করে ফেলতেন হাসিমুখে। পাহাড়ে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজে মেশিনের সঙ্গে হেনরির টিকে থাকার লড়াইয়ের ঘটনা আজও গায়ের পশমকে দাঁড় করায়। জীবন দিয়ে শ্রমিকদের মাথা উঁচু করে গেছেন এভাবে। জন হেনরি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের একজন মহানায়ক।

মে দিবসের আলোচনায় আরও যুক্ত হন সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক তানশি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরতি পাল, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক জান্নাতুল মিশু, দপ্তর সম্পাদক আনাস খান ও বন্ধু হিমু।

কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা বলেন, ‘এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সঙ্গে বৈষম্য দেখতে পাই। আমাদের দেশে শিশুশ্রম দিন দিন বেড়েই চলেছে। পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হোক কোমলমতি সব শিশু—বিশ্ব শ্রমিক দিবসে আমাদের এটাই চাওয়া।’

আন্দোলনের পথ মসৃণ নয়, নানা সংঘাত, দুর্গম পথ পেরিয়ে রক্ত ঝড়িয়ে আলোর মুখ দেখে প্রতিটি আন্দোলন। সেদিন শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টা দাবি আজ পৃথিবীর সব শ্রমিকের জন্য আশীর্বাদ।

প্রচার সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা