পাঠচক্রে হুমায়ূন আহমেদের ‘কহেন কবি কালিদাস’

ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: আনাস খান

‘কহেন কবি কালিদাস
পথে যেতে যেতে
নাই তাই খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে?’

মিসির আলি নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা অনেকগুলো লেখার মধ্যে একটি হলো ‘কহেন কবি কালিদাস’। কবি কালিদাসের এই ধাঁধা দিয়েই গল্পের শুরু। বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট অনবদ্য চরিত্র মিসির আলি। সব সময় যুক্তির ওপর নির্ভর করে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করেন মিসির আলি।

২০ মে বিকেল পাঁচটায় প্রথম আলোর ভৈরব আঞ্চলিক অফিসে বন্ধুরা পাঠের আসরে বসেন। ১৫২তম পাঠের আসরটি সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক জান্নাতুল মিশু। শুরুতেই পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার ইবাদ, হুমায়ূন আহমেদ ও তাঁর সৃষ্ট চরিত্র মিসির আলি সম্পর্কে বন্ধুদের স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, মিসির আলির স্মৃতিশক্তি বেশ ভালো। তিনি যুক্তি দিয়ে সবকিছু চিন্তা করেন এবং সেভাবে রহস্যের জট খুলেন। তবে এই গল্পের শুরুতে তিনি সায়রা বানুকে নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন, সায়রা বানুর সমস্যাটা জটিল। সে নাকি ইবলিশ শয়তানের সঙ্গে কথা বলেছে। তাকে দেখেছে। তবে পরিশেষে মিসির আলি তাঁর সূক্ষ্ম বুদ্ধি দিয়ে জটিল রহস্যের সমাধান করেন।

আলোচনায় আরও যুক্ত হোন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা, উপদেষ্টা সুমাইয়া হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদরাতুল রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জন হোসেন। সুমন মোল্লা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন। তাঁর লেখনী শক্তিতে দুই বাংলার সাহিত্যপ্রেমীদের যোগসূত্র স্থাপন হয়েছে। তিনি যদি আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকতেন, তাহলে আমরা আরও কালজয়ী কিছু গ্রন্থ পেতাম। তাঁর মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের সাহিত্য।’

সভাপতি নাহিদ হোসাইন তাঁর আলোচনার শুরুতে কবি কালিদাসের ধাঁধাটি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘মিসির আলি চরিত্র সব সময় আমাকে দারুণ বিমোহিত করে। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওঠা যায় না। আজও পাঠকের কাছে চাহিদার শীর্ষে থাকে হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো।’ সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন ও বন্ধু অনুপমের আলোচনার মাধ্যমে রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। শেষ দিকে মোড় নেওয়া রহস্যঘেরা এই গ্রন্থ আলোচনায় শ্রোতা–বন্ধুরা নিমগ্ন ছিলেন।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা, আফিসা আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফ্রমি হক, প্রচার সম্পাদক মহিমা মেধা, দপ্তর সম্পাদক আনাস, বন্ধু জিহাদ, তানভীর ও আদিব রহমান।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা