ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বন্ধুসভার বন্ধুরা
দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এর প্রভাবে রবিবার ও সোমবার—টানা দুই দিন ভারী বৃষ্টি পাতসহ কোথাও কোথাও জোয়ারের পানিতে অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলাদি জমি তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ঘরে বসে না থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বন্ধুসভার বন্ধুরা।
সাতক্ষীরা জেলায় বন্ধুসভার ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করেছেন। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলার সাত উপজেলায় ২৫ মে রাত থেকেই বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা, লাল পতাকা উত্তোলন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করেন বন্ধুরা। পাশাপাশি জনসাধারণকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে কাজ করেন।
২৬ ও ২৭ মে সাতক্ষীরা বন্ধুসভার পক্ষ থেকে অসংখ্য পরিবারে শুকনা খাবার (মুড়ি ও চানাচুর), মোমবাতি ও খাবার স্যালাইন পৌঁছে দেওয়া হয়। শ্যামনগর উপজেলায় চুনা নদীর পারে সিংহড়তলীতে প্রথম আলোর আশ্রয়কেন্দ্রে অসংখ্য পরিবার আশ্রয় নেয়। শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুসভার বন্ধুদের সহযোগিতায় সেখানেও শুকনা খাবার দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথম আলো বন্ধুসভা সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমরা সাতক্ষীরা বন্ধুসভার পক্ষ থেকেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে।’ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বন্ধুরা জানান, তৈরি করা হয় বন্ধুসভার জরুরি কলসেবা সেন্টার ও প্রাথমিক চিকিৎসা টিম। বন্ধুরা জেলায় মোট তিনটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেন এই দুর্যোগ মোকাবিলায়।
এ ছাড়া নিজেদের উদ্যোগে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বন্ধুসভার বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা বন্ধুসভা