পাখির জন্য নিরাপদ আশ্রয় করে দিল নীলফামারী বন্ধুসভা

পর্যটনকেন্দ্র নীলসাগর দিঘির ধারের গাছে মাটির পাতিল বসিয়ে পাখির বাসা তৈরি করে দিচ্ছেন নীলফামারী বন্ধুসভার এক বন্ধুছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে পরিবেশ রক্ষায় গাছে গাছে মাটির পাতিল বসিয়ে পাখির বাসা তৈরি করে দিলেন নীলফামারী বন্ধুসভার বন্ধুরা। ২১ অক্টোবর সকালে পাখির অভয়াশ্রম পর্যটনকেন্দ্র নীলসাগর দিঘির ধারের গাছে এসব পাতিল বসানো হয়। এরপর নীলসাগর দিঘিতে ও এর আশপাশে পড়ে থাকা পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ আবর্জনা সরিয়ে তা ধ্বংস করেন বন্ধুরা। এ ছাড়া পর্যটনকেন্দ্রে বসা বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানে গিয়ে যেখানে–সেখানে ময়লা না ফেলার অনুরোধ জানান তাঁরা।

বন্ধুসভার বন্ধুরা জানান, নীলফামারীর একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র নীলসাগর দিঘিতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসেন। এখানে শীতের শুরুতে পরিযায়ী পাখিসহ দেশীয় নানা প্রজাতির পাখি আনাগোনা করে। পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় না থাকায় গাছ থেকে পড়ে পাখির ছানা মারা যায়। এখানে রয়েছে বড় বড় গাছ। এসব গাছে পাতিল বসিয়ে দিলে পাখিরা নিরাপদে বংশবিস্তার করতে পারবে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের অসতর্কতার কারণে দিঘিসহ দিঘির পারে ময়লা–আবর্জনা দেখা যায়। জনসচেতনতা বাড়াতে এ বছর তাঁরা এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নীলফামারী বন্ধুসভার একটি ভালো কাজ
ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারী বন্ধুসভার সভাপতি রুবী আক্তার বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের পাখির বংশবিস্তার করাতে হবে। এখানে প্রতিবছর শীতের সময় সূদূর সাইবেরিয়া থেকে পাখিরা আসে। পাখিদের আবাসস্থল না থাকায় তারা বিভিন্ন খেতখামার ও জঙ্গলে বাসা করে। এই পাখিদের শিকারিরা শিকার করে। তাই আমরা জনসচেতনতা বাড়াতে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রত্যেকে সচেতন হলে পাখির বংশবিস্তার করে পরিবেশ রক্ষা করতে পারব।’

কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন সহসভাপতি নিপুন রায়, বন্ধু প্রিয়াংকা রায়, ফারজানা মুমু, সুমন রায়, রাজকুমার, বিধান রায়, সুভাষ ঋষি, অনিক রায়, গিরেন রায়, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান, প্রথম আলোর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (বিপনন) ইমরান আলী প্রমুখ।

প্রথম আলোর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমরান আলী বলেন, ‘নীলফামারী বন্ধুসভার বন্ধুরা তাদের ভালো কাজের অংশ হিসেবে আজকে যে কাজটা করেছে, এটা অনেক ভালো উদ্যোগ। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে নীলসাগরে আগত দর্শনার্থীরা অনেকে ইতিবাচক মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।’