ঈদ মানে হাসি, আনন্দ, খুশির মেলা। কিন্তু ঈদ কি সত্যিই সবার জন্য হাসি, আনন্দ, খুশির মেলা? নাকি ধনী–গরিব ভেদাভেদে মানুষের জন্য ঈদের আনন্দের ভিন্নতা দেখা দেয়!
আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পরিবার। একটা নতুন জামা কিংবা ঈদের বাজারের অভাবে তাদের মধ্যে ঈদ এলেও আনন্দ যেন আটকে যায় কোনো নিশ্ছিদ্র ঘরে। সেই নিশ্ছিদ্র ঘরের দেয়াল ভেঙে তাদের কাছে ঈদের আনন্দ পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে ঝিনাইদহ বন্ধুসভা।
১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুরা ঈদের বাজার, নতুন জামা ও মেহেদি পৌঁছে দেন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে। এই প্রচণ্ড গরমে সহমর্মিতার ঈদের সামগ্রী নিয়ে বন্ধুরা প্রথমেই চলে যান ঝিনাইদহ পৌর ইকোপার্কে। সেখানেই নিজের জীবিকা নির্বাহের কাজে ব্যস্ত ছিল ১০ বছর বয়সী ফুল বিক্রেতা শান্তা। পোশাক পেয়ে তার মুখে ফুটে ওঠে একটুকরো রুপালি হাসি।
সেখান থেকে বন্ধুরা রওনা হন তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য সিয়ামের বাড়ির দিকে। খালি গায়ে ও জীর্ণশীর্ণ একটা প্যান্ট পরিহিত সিয়ামকে আবিষ্কার করেন বন্ধুরা। তার কাছে যখন পোশাকটি দেওয়া হলো, সে বলে উঠল, ‘তুমারে কি চান মামা পাঠাইছে? বিনে পয়সায় জামা দেচ্ছো!’
এভাবে আরাপপুর, পাগলা কানাই, সাগান্নাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ঘুরে ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুরা ১২টি সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নতুন জামা ও মেহেদি এবং ৮টি পারিবারের নিকট ঈদের বাজার পৌঁছে দেন।
প্রচার সম্পাদক, ঝিনাইদহ বন্ধুসভা