‘নদী ও নারী’ উপন্যাস নিয়ে নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্র
হুমায়ুন কবীর রচিত ‘নদী ও নারী’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ১১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বই আলোচনায় পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি বলেন, ‘এই উপন্যাসে নদীকে প্রকৃতির প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা জীবন ও মৃত্যুর চক্রাকারে বয়ে চলে। একই সঙ্গে নদী সেখানকার মানুষের জীবন, সংস্কৃতি ও সমাজের ওপর যে গভীর প্রভাব ফেলে, তা–ও তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলোও নদীর মতোই স্রোতস্বিনী, যারা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে এবং তাদের জীবনের পথ খুঁজে নেয়।’
বন্ধু শান্ত দে বলেন, ‘উপন্যাস পড়ে অনুধাবন করেছি, মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য এক রূপ দেখাতে পারে, আর বাস্তবে অন্য রূপ। অর্থাৎ মানুষ স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে।’
দপ্তর সম্পাদক নয়ন চন্দ্র কুরী বলেন, পদ্মা নদীর কূল ঘেঁষে টিকে থাকা মানুষের জীবনের সরল অথচ সংগ্রামী জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই উপন্যাসে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম বলেন, নদীর যেমন জোয়ার–ভাটা ও চড়াই–উতরাই রয়েছে, মানুষের জীবনও ঠিক তেমন।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিমুল, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ম্যাগাজিন সম্পাদক নুসরাত ফারিন, বন্ধু নাইমা সুলতানাসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা