যুক্তির মেলায় অন্তরে শুদ্ধতার বীজ প্রস্ফুটিত হোক

ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: সন্দ্বীপ পাল

বিতর্ক নিজের মতকে প্রকাশ করতে শেখায়। একজন বিতার্কিক তার পুঁথিগত বিদ্যা, সামাজিক বাস্তবতা, নিজস্ব চিন্তার প্রয়োগ ঘটিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরে। যুক্তিবাদী ও আলোকিত মানুষ হতে সাহায্য করে বিতর্ক।

‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়’ প্রতিপাদ্যে ১৭ জুলাই ভৈরবের এমবিশন পাবলিক স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো পুষ্টি–প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব ২০২৩-এর ভৈরব আঞ্চলিক পর্ব। এতে কিশোরগঞ্জ জেলার ১২টি স্কুল অংশগ্রহণ করে।

‘বিতর্ক শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকশিত করে, মেধা ও মননকে প্রস্ফুটিত করে। এতে মানুষ সহিষ্ণু হয়। বিতর্ক একটি শিল্প,’ বলছিলেন রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ। এরপর তিনি আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী। মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করেন ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি মতিউর রহমান। বিতর্ক কর্মশালা করেন বিতর্ক মঞ্চ সংগঠনের সমন্বয়ক রাকিবুল হান্নান।

সকাল ১০টায় ৬টি কক্ষে ১২ স্কুলের অংশগ্রহণে শুরু হয় প্রথম রাউন্ড বিতর্ক পর্ব। বিতর্ক অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাজিতপুরের আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভৈরব আইডিয়াল স্কুল। ‘পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তির ভূমিকাই প্রধান’ বিষয়ে পক্ষে–বিপক্ষে যুক্তিতর্কে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রানার্সআপ হয় ভৈরব আইডিয়াল স্কুল। চূড়ান্ত আয়োজনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ভৈরব বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন ও নাফিস রহমান।

পুষ্টি–প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব ২০২৩-এর ভৈরব আঞ্চলিক পর্বের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ দল
ছবি: সন্দ্বীপ পাল

চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা নাজিয়া শারমিন শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন। এরপর কুইজ পর্ব ও বারোয়ারি বিতর্কে বিজয়ীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এই পর্ব সঞ্চালনা করেন ভৈরব বন্ধুসভার অর্থ সম্পাদক মানিক আহমেদ। উপদেষ্টা সুমাইয়া হামিদ আয়োজনটির সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দপ্তর সম্পাদক আনাস খান বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের অফিস মুখর থাকে বন্ধুদের কোলাহলে। বিতর্ক নিয়ে সবার সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। অবশেষে আমরা সফল হয়েছি।’ সমাপনী আয়োজনে বক্তব্য দেন এমবিশন স্কুলের পরিচালক আতিক আহমেদ, ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা ওয়াহিদা আমিন, আলাল উদ্দিন, জনি আলম, রাকিব হোসাইন, আরাফাত ভূঁইয়া, সুমাইয়া হামিদ, আসাদুজ্জামান সোহেল, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা, আফিসা আলী, ইকরাম বখশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ছিদরাতুল রশিদ প্রমুখ।

সভাপতি নাহিদ হোসাইন বলেন, ‘বিশেষ যুক্তিতর্কের নামই হলো বিতর্ক। প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান রেখে অন্তত দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়। আজকের এই যুক্তির মেলায় সবার অন্তরে শুদ্ধতার বীজ প্রস্ফুটিত হোক।’

অর্থ সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা