চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা উপভোগ করলেন ‘আয়নাবাজি’
২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা নির্মাতাসহ মোট ৭টি পুরস্কার অর্জন করে ‘আয়নাবাজি’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। অনম বিশ্বাসের চিত্রনাট্য ও রাশেদ জামানের সিনেমাটোগ্রাফি এক দারুণ মাত্রা যোগ করে।
গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার কক্ষে প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্রটি। বন্ধুসভার বন্ধুদের অংশগ্রহণে সেদিন কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল কক্ষটি। শারাফাত করিম আয়না চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন নতুন চরিত্রের ভেলকি, সঙ্গে সাবের রহমানের অর্থাৎ পার্থ বড়ুয়ার ক্রাইম রিপোর্টিং দর্শকদের দৃষ্টিকে পর্দায় আটকে রাখে। ছবির কিছুক্ষণ পরপর নতুন নতুন মোড় দর্শকের মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। রয়েছে বেশ কয়েকটি মনোমুগ্ধকর গান।
চলচ্চিত্রটির বিশেষ বিশেষ চরিত্রে আরও অভিনয় করেন বিজরী বরকতুল্লাহ, লুৎফর রহমান জর্জ, বৃন্দাবন দাশসহ অনেকে। প্রদর্শনী শেষে বন্ধুরা ছবিটি সম্পর্কে তাঁদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
বন্ধু কৌশিক বলেন, ‘আয়নাবাজি সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল! চঞ্চল চৌধুরীর অনবদ্য অভিনয়, পরিচয়ের জটিলতা, আর সমাজের মুখোশধারী চরিত্রগুলো গল্পটিকে গভীরতা দিয়েছে।’
আরেক বন্ধু বলেন, ‘আয়নার জীবন আমাদের বাস্তবতারই প্রতিফলন—যেখানে অনেকেই নিজের আসল পরিচয় হারিয়ে ফেলে। অসাধারণ চিত্রগ্রহণ, সংলাপ, আর সাসপেন্সপূর্ণ গল্প সবাইকে পুরো সময় ধরে মুগ্ধ করে রেখেছিল।’
বন্ধু জিশান বলেন, ‘“আয়নাবাজি”র আয়নার ভেলকিবাজিতে কোন সময় সিনেমা শেষ হয়ে গিয়েছে, খেয়ালই করিনি।’
প্রদর্শনীটির সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন বন্ধু আতৃহার রহমান ও জয় চক্রবর্তী।
কার্যনির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা