ভ্রমণ মানুষের মনের খোরাক জোগায়। বেঁচে থেকে জীবন উপভোগ করতে শেখায়। আর ভ্রমণ করতে কে না ভালোবাসে? আট বছর থেকে আশি বছরের সবাই ঘুরতে ভালোবাসে।
১১ অক্টোবর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভ্রমণবিষয়ক আড্ডায় মেতে ওঠেন নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা। সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহিনের সঞ্চালনায় বন্ধুরা একে একে নিজেদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। মুহূর্তের জন্য সবার চোখে ভেসে উঠছিল একদিকে পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে সমুদ্রের শীতলতা, স্নিগ্ধ পরিবেশ। উপস্থিত সবাই ফিরে যান স্মৃতির পাতায়।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা আনিকা বলেন, ‘গত বছর পরিবারসহ সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম। সেখানে সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হলো দিনে রিসোর্ট থেকে পাঁচ–সাত মিনিট হেঁটে বিচে যেতে হয়। আর রাতে রিসোর্টে পানি একদম পা ভেজানো যাবে, এমন অবস্থায় থাকত। এই দৃশ্য এবং ওখানকার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ মুগ্ধ করেছে। সুযোগ পেলে বারবার সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতে চাই।’
সভাপতি আসিফ আহমেদ বলেন, ‘অনেক জায়গায় ঘুরেছি, গিয়েছি। তবে পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং আঁকাবাঁকা রাস্তা, সেখানকার গ্রামীণ পরিবেশ আমাকে বারবার বিমোহিত করেছে।’
পরবর্তীতে সবার জন্য উন্মুক্ত প্রশ্ন করা হয়, কে কয়টি জেলায় ভ্রমণ করেছেন এবং এই মুহূর্তে তার কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে? জবাবে কেউ যেতে চান কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন আবার কেউ যেতে চান সিলেট, সাজেক ভ্যালি, খাগড়াছড়ি কিংবা রাঙামাটি।
বন্ধু ইমতিয়াজ দোলন বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১২টি জেলায় বেড়ানো হয়েছে। পাহাড়-সমুদ্রের পাশাপাশি আমার রাজশাহী জেলার পরিবেশ এবং পর্যটন জায়গাগুলো অনেক ভালো লেগেছে।’
সভার একপর্যায়ে নোয়াখালী বন্ধুসভার পরবর্তী কার্যপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কীভাবে বন্ধুরা দেশ এবং দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধু মাহফুজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিদা ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাজরিহাতুন স্বর্ণা, কার্যকরী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরিসহ অন্যান্য বন্ধুরা।
প্রচার সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা