যশোর বন্ধুসভার পাঠচক্রে জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’
বই মানুষকে কাঁদায়, হাসায়, মানুষকে অতীত ও ভবিষ্যতেও নিয়ে যেতে পারে; নিয়ে যেতে পারে সব লোমহর্ষক মুহূর্তগুলোতেও। ২৭ অক্টোবর যশোর বন্ধুসভার পাঠচক্রে জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছোটগল্পটি বন্ধুদেরকে নিয়ে গিয়েছিল এরকমই এক রোমহর্ষক সময়ে।
সময়টা ১৯৭১ সাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে স্মরণীয়। ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছোটগল্পে জহির রায়হান মিলিটারিদের দ্বারা পূর্ববাংলার জনগণের ওপর নির্মম অত্যাচার-নিপীড়ন ও মেরে ফেলার করুণ কাহিনি দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কতগুলো মেয়ের চুল, দুটো হাতের আঙুল, চাপ চাপ রক্ত, খুলির একটুকরো অংশ, এক খাবলা মগজ, লাল হয়ে যাওয়া সাদা ফিতে, একটা মানুষকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ছাপ। আহারে, কল্পিত দৃশ্যগুলো সত্যিই খুব করুণ!
আলোচনায় অংশ নেন যশোর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসরিন শিরিন, প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক হামিদা হিমু, বন্ধু জাহানারা জ্যোতি, ফয়সাল মাহমুদ ও তাবাসসুম আক্তার।
আলোচকেরা বলেন, ‘মা–বাবার কাছে শুনেছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় খাল-বিল ও নদী-নালাতে হাত-পা বেঁধে বস্ত্রহীন লাশ ফেলে রাখা হতো। সাধারণ মানুষের গোসল করার জন্য এসব জায়গা ছাড়া অন্য কোনো জায়গা ছিল না। এ জন্য বাধ্য হয়ে পচা লাশ সরিয়ে গোসল করতে হতো মানুষের।’
সাধারণ সম্পাদক, যশোর বন্ধুসভা