‘বাচ্চাদের মুখে হাসি দেখলে পরানটা জুড়িয়ে যায়’

নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার উদ্যোগে শিশুরা পেল নতুন জামাছবি: বন্ধুসভা

ঈদ মানে খুশি। আর এদিনে নতুন জামা পরতে কে না চায়। কিন্তু সমাজের কিছু শিশু সেই খুশি থেকে বঞ্চিত হয়। এসব শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মতো এবারও রঙিন জামা বিতরণ করেছে নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভা।

২১ মার্চ শুরু হয়ে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি। ৮৭টি শিশুকে রঙিন জামা ও ১০টি পরিবারকে ঈদ খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছেন বন্ধুরা।

রঙিন জামা পেয়ে এক শিশু কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘ঈদ কেন বেশি করে হয় না। ঈদ বেশি হলে তো প্রতিদিনই নতুন নতুন জামা পরতে পারতাম।’

ঈদসামগ্রী পেয়ে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা বলেন, ‘বাজারে তেলের যা দাম, মনে হয় আগুন। কেনা তো দূরের কথা, দাম শুনলেই কান্না চলে আসে। তোমাদের এই তেল দিয়ে আমার অন্তত এক মাস চলে যাবে।’

ঈদের খুশি
ছবি: বন্ধুসভা

উপদেষ্টা মজিবুল হক পলাশ বলেন,বন্ধুসভার বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঈদ বাজেটের একটা অংশ থেকে প্রতিবছর বাচ্চাদের রঙিন জামা দেওয়া হয়। এতে সবার মধ্যে ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়।

সভাপতি নয়ন আহমেদ বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা ঈদে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারত না। কারণ, তিনি নিম্ন আয়ের মানুষ ছিলেন। নতুন জামার জন্য আব্বাকে কিছু বলতে পারতাম না, মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকতাম। দাদি সেটা খেয়াল করতেন। তাই তিনি ১০০ টাকা দিয়ে বলতেন, কিছু কিনে নিস। আজ এসব বাচ্চর মুখে হাসি দেখলে পরানটা জুড়িয়ে যায়।’

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সাব্বির আল ফাহাদ, উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস, সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মৌন লাকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অর্পিতা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া নুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক ইমরান নাজির, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী খায়রুজ্জামান, হাসানুজ্জামান, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক নাঈমা ইসলামসহ অন্য বন্ধুরা।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভা