বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ড্যাফোডিল বন্ধুসভার গ্রাফিতি অঙ্কন

ড্যাফোডিল বন্ধুসভার বন্ধুদের আঁকা গ্রাফিতিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনছবি: অদ্বিত আল নাফিউ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই ড্যাফোডিল বন্ধুসভার বন্ধুরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা হয়, কীভাবে দেশকে সংস্কার এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা যায়। সবার আলোচনা ও ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়ে ড্যাফোডিল বন্ধুসভার বন্ধুরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং, গ্রাফিতি অঙ্কন, গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন সংস্কারকাজে অংশ নিয়েছেন।

সরকার পতন ৫ আগস্ট হলেও শিক্ষার্থীরা এই দিনটিকে ৩৬শে জুলাই হিসেবে মনে রাখতে চায়
ছবি: অদ্বিত আল নাফিউ

সংস্কারের কাজে যুক্ত হতে ইচ্ছুক বন্ধুরা বিভিন্ন জেলা থেকে ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। এ ছাড়া যাঁরা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছিলেন তাঁদের নিয়ে ৯ আগস্ট থেকেই শুরু হয়ে যায় কাজ। সাভারের বিরুলিয়া, আক্রাইন ও আশুলিয়ায় বন্ধুরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিকের কাজ করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল মলি ও প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশে পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুনরায় যুক্ত হলে বন্ধুরা তাঁদের কর্মসূচি শেষ করেন।

সভাপতি সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে ১১ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত একদল বন্ধু প্রতিনিয়ত আশুলিয়া, কুমিকুমারি, চারাবাগ ও চানগাঁও বাজার মনিটরিং করেন। পাশাপাশি সহসভাপতি আদিবা জামানের তত্ত্বাবধানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দেয়ালে শুরু হয় গ্রাফিতি অঙ্কনের কাজ। সার্বিক সহযোগিতা করেন মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক অদ্বিত আল নাফিউ। সমন্বয়ে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাবিরা সুলতানা ও দপ্তর সম্পাদক নাবিল মাহমুদ।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই জেন-জি বা জেনারেশন জেড
ছবি: অদ্বিত আল নাফিউ

ড্যাফোডিল বন্ধুসভার কনভেনর আনোয়ার হাবিব কাজল বন্ধুদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা অনেক সুন্দর কাজ করছ। তোমাদের কারণেই দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’ এ ছাড়া অন্য শিক্ষকেরাও সাধুবাদ জানান।

ড্যাফোডিল বন্ধুসভার সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠে ছিলাম। সেই আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান, চিত্র, প্রতিবাদী বাক্য গ্রাফিতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে আঁকা হয়েছে। এগুলো দেখে পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।’

বন্ধু, ড্যাফোডিল বন্ধুসভা