বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন

সন্ধ্যায় বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিত মদনমোহন মালভিয়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ জ্বালানোর মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ইন্টারন্যাশনাল বয়েজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে আলপনা ও অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরাও।

‘একুশ আমার চেতনায়, একুশ আমার মননে’ প্রতিপাদ্যে এদিন সকালে প্রভাতফেরির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, জাতীয় পতাকা ও অর্ধনমিত কালো পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সাজিদা ফাতেমা বিনতে আজাদ। এ কাজে সহায়তা করেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি পার্থ প্রতিম, সহসভাপতি অর্পিতা দে, পরশ রয়, সাধারণ সম্পাদক শুভশ্রী ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৌশিক সিকদার, মেহেদি হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবস্মিতা বড়াল, অর্থ সম্পাদক মেধা পারমিতাসহ বন্ধুসভার বন্ধু ও অন্যান্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

সকাল আটটায় চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজ্যুয়াল আর্ট বিভাগের অধ্যাপক সুরেশ নয়ন। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিত মদনমোহন মালভিয়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ জ্বালানোর মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ইন্টারন্যাশনাল বয়েজ হোস্টেলের অ্যাডমিন ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আক্তার আলী, ডিন অব পারফর্মিং আর্টসের অধ্যাপক শশী কুমার, বাংলা অনুষদের বিভাগীয় প্রধান সুমিতা চট্টোপাধ্যায়, বাংলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সুবীর ঘোষ, নিউ ইন্টারন্যাশনাল গার্লস হোস্টেলের অ্যাডমিন ওয়ার্ডেন নীতি সিং।

চিত্রকর্ম প্রদর্শনী
ছবি: সংগৃহীত

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় কণ্ঠে এসরাজ, বাঁশি, তবলা, হারমোনিয়াম, গিটার ইত্যাদির মাধ্যমে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ সংগীত পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের ১৩টি ভাষায় সংগীতটি অনুবাদ করে পরিবেশন করা হয়। এরপর ভারতনাট্যম পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন শিক্ষার্থীরা। অংশ নেন বাংলাদেশ, ইরাক ও নেপালের শিক্ষার্থীরা। সবাই নিজ নিজ মাতৃভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন। একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং একুশকে নিয়ে বাংলায় কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলা বিভাগের এইচওডি সুমিতা চট্টোপাধ্যায়।

এরপর বাঙালি শিক্ষার্থীরা দলীয় ও একক বাংলা সংগীত পরিবেশন করেন। এ ছাড়া তিব্বতি, থাই ও শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীরা নিজস্ব সংস্কৃতিতে নৃত্য পরিবেশন করেন। সবশেষে বাঁশি ও বেহালা পরিবেশন করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা