আহমদ ছফার ৮১তম জন্মবার্ষিকীতে পাঠচক্রের আসর

নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর
ছবি: বন্ধুসভা

আহমদ ছফা আপাদমস্তক একজন কথাসাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত। তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধগ্রন্থে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান, দায়িত্বের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর লেখায় প্রকাশ পায় ভাষিক সৌকর্য ও বিষয়বস্তুর অভিনবত্ব। প্রথাবিরোধিতা, স্পষ্টবাদিতা, স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তিনি লেখক ও বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ আলোচিত ও বিতর্কিত ছিলেন।

গত ৩০ জুন ছিল এই মহান লেখকের ৮১তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পাঠচক্রের আসর করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন।

শুরুতেই পরিচয়পর্ব ও শুভেচ্ছা আদান-প্রদান করেন বন্ধুরা। আহমদ ছফার অন্যতম সৃষ্টি ‘বাঙালি মুসলমানের মন’ প্রবন্ধের কিছু অংশ পড়েন সবাই। এই প্রবন্ধে লেখক বাঙালি মুসলমানদের নিজেদের হাজার বছরের জীবনযাপন ও নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া তাদের পশ্চাদগামিতার কারণ অনুসন্ধান করেছেন। আনিসুজ্জামান, সলিমুল্লাহ খানসহ আরও অনেকে প্রবন্ধটিকে বাংলা ভাষায় রচিত গত শতাব্দীর ‘সেরা ১০ চিন্তার বইয়ের’ একটি বলে আখ্যা দিয়েছেন।

প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ আহমদ ছফা সম্পর্কে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের করা একটি মন্তব্য উল্লেখ করেন। মন্তব্যটি হলো, ‘আহমদ ছফা চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত এক শ ভাগ খাঁটি সাহিত্যিক।’
বন্ধু মালিহা তাসনিম বলেন, ‘আহমদ ছফা সম্পর্কে জানতে গিয়ে অনলাইনে তাঁর বেশ কিছু উক্তি খুঁজে পাই। সেখানে একটি উক্তি খুবই পছন্দ হয়। উক্তিটি ছিল, “সম্যক পরিচয়ের অভাবই হচ্ছে মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষের মূল।”’

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল বলেন, ‘আহমদ ছফা বরাবরই পছন্দের লেখকদের মধ্যে একজন। তাঁর “গাভী বিত্তান্ত” পড়েছি। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের রূপকে রচিত “ওঙ্কার” পড়ছি।’

পরবর্তী সময়ে বন্ধুরা আহমদ ছফার জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদা ইতু, বন্ধু মেহেদী হাসান, হামিম আফসার, পারভেজ হোসেন, আরিফ হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা।

সহসাংগঠনিক সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা