হাজারো মায়ের শূন্য বুকের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। নিজের আদরের সন্তানকে হারিয়েও যে মা দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠেন, সে রকমই এক মহান নারীর গল্প রণেশ দাশগুপ্তের ‘রহমানের মা’। গল্পটি নিয়ে ভৈরব বন্ধুসভার ১৯৩তম পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়। ১৭ মার্চ বিকেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রটি সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিস রহমান। শুরুতেই জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক মহিমা মেধা লেখকের পরিচিতি তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আফিফুল ইসলাম গ্রন্থটির মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন।
‘রহমানের মা’ গল্পে মুক্তিযুদ্ধে সন্তান হারানো এক মায়ের অসীম ধৈর্য ও দেশপ্রেমের চিত্র উঠে এসেছে। স্বাধীনতা অর্জনের পরও তিনি শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতির কথা না ভেবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষার সুযোগ ও আত্মনির্ভরশীলতার গুরুত্ব তিনি উপলব্ধি করেন এবং সবাইকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গল্পটি শুধু একজন মায়ের শোকগাথা নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশের দায়িত্ববোধ ও সমৃদ্ধির পথের দিশা দেয়।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা বলেন, স্বাধীনতা শুধু অর্জনের বিষয় নয়, দেশকে এগিয়ে নিতে সবার দায়িত্বশীল অংশগ্রহণও জরুরি।
ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা লুবনা হক বলেন, দেশ বিনির্মাণে ও দেশের কল্যাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পাঠচক্রে একে একে বন্ধুরা বইটি নিয়ে তাঁদের মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আফিসা আলী, সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন, অর্থ সম্পাদক আনাস খানসহ অন্য বন্ধুরা।
উপদেষ্টা ওয়াহিদা আমিনের ব্যবস্থাপনায় পাঠচক্র শেষে বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে ইফতার করেন। রমজানের এই শুভ সময়ে বন্ধুদের ইফতার পুরো আয়োজনকে আরও সুন্দর ও হৃদ্যতাপূর্ণ করে তোলে।
দেশপ্রেমের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে বন্ধুসভার এই পাঠচক্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন সভাপতি জান্নাতুল মিশু।
সাধারণ সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা