‘প্লাস্টিকমুক্ত পৃথিবী চাই, গাছ লাগাই, গাছ বাঁচাই’ প্রতিপাদ্যে চাঁদপুর সরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেছে চাঁদপুর বন্ধুসভা। পাশাপাশি প্রায় ১০০ ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ একটি জলপাই গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘গাছ আমাদের সবচেয়ে দামি জিনিস, অক্সিজেনের জোগানদাতা। আমরা বেঁচে আছি অক্সিজেনের কারণেই। অক্সিজেন ছাড়া কয়েক মিনিট বেঁচে থাকা দুঃসাধ্য। হয়তো সারাক্ষণ অক্সিজেনের সমুদ্রে ডুবে থাকি বলে এর মর্ম আমরা বুঝতে পারি না। তবে করোনাকালে বুঝেছি, অক্সিজেন আমাদের কতটা আপন বন্ধু। তাই বন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখলেই আমরা বেঁচে থাকব।’
উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ খলিলুর রহমান বলেন, ‘চমৎকার একটি উদ্যোগ। বৃক্ষরোপণের এখনই উপযুক্ত সময়। বৃক্ষের প্রতি যদি আমরা ভালোবাসা তৈরি করতে পারি, তবে পৃথিবী হবে সুন্দর। আমরা পাব নির্মল বায়ু।’
কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিউ এম হাসান শাহারিয়ার বলেন, ‘এই যে বেঁচে আছি, প্রাণভরে নিশ্বাস নিচ্ছি। আর কী চাই। মহামারির সময় দেখেছি, কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে মানুষের দৌড়ঝাঁপ। ওই খারাপ সময়টার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগোতে হবে। যখন যেখানে পারেন শুধু গাছ লাগান। গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই।’
চাঁদপুর বন্ধুসভার সভাপতি রিফাত কান্তি সেন বলেন, ‘একটি গাছ আপনার পরম বন্ধু। আপনি গাছের বিকল্প চিন্তা করতে পারেন না। বৃক্ষের গুণ কীভাবে অস্বীকার করবেন। মায়ের মতোই মমতার ছায়ায় বেঁধে রেখেছে আমাকে, আপনাকে। বৃক্ষ যদি না থাকত, তবে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব থাকত না। আমরা যে হারে গাছ কাটি, সে হারে গাছ লাগাই না। বৃক্ষের গুরুত্ব আমাদের বুঝতে হবে। শুধু অক্সিজেনই নয়, বৃক্ষ আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে। দুর্যোগে বুক পেতে দেয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদি হাসান, চাঁদপুর বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোনেম শাহারিয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ আহমেদ, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক তানিয়া আক্তার, বন্ধু রোকেয়া কাকন, আলামিনসহ অন্য বন্ধুরা।
সভাপতি, চাঁদপুর বন্ধুসভা