প্রতিটি সংগঠনের সুশৃঙ্খল ও সঠিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত গঠনতন্ত্র। এটি শুধু কাগজে-কলমে কিছু বিধিবিধান নয়, বরং একটি সংগঠনের আদর্শ, দিকনির্দেশনা ও রূপরেখার প্রতীক। এই গঠনতন্ত্রই নির্ধারণ করে কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, সদস্যদের অধিকার ও কর্তব্য কী এবং সংগঠন কোন নীতিতে চলবে।
প্রথম আলো বন্ধুসভার কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও সময়োপযোগী করতে সম্প্রতি সংশোধিত গঠনতন্ত্র প্রকাশিত হয়েছে। এটি নিয়ে বিশেষ পাঠচক্র করেছে দিনাজপুর বন্ধুসভা। ৩১ মে বিকেলে প্রথম আলো দিনাজপুর অফিসে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়।
এ পাঠচক্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুসভার সদস্যদের কাছে গঠনতন্ত্রের তাৎপর্য তুলে ধরা, এবং তাদের সংগঠনের নীতিমালা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। পাঠচক্রে গঠনতন্ত্রের ধারাগুলোর আলোচনায় উঠে আসে, বন্ধুসভার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, সদস্য হওয়ার যোগ্যতা ও কর্তব্য, কার্যনির্বাহী কমিটির কাঠামো, বার্ষিক সম্মেলন, সভা ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া, বরখাস্ত নীতিমালা, এবং সর্বোপরি বন্ধুসভার নীতিগত শৃঙ্খলা। সুতরাং বলা যায়, গঠনতন্ত্র কেবল একটি কাগজ নয়—এটি বন্ধুসভার পথ দেখানো মানচিত্র।
প্রথম আলোর দিনাজপুর প্রতিনিধি রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো সংগঠনের একটা সংবিধান ও গঠনতন্ত্র থাকে। এটা মাথায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এর বাইরে গিয়ে কোনো সাংগঠনিক কাজ করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংগীতের প্রতি যাদের সম্মান নেই বা এ নিয়ে মতবিরোধী মনোভাব পোষণ করে—তেমন মানসিকতার কাউকে বন্ধুসভার সদস্য করা উচিত নয়।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শবনম মুস্তারিন, সহসভাপতি আরিয়ানা চৌধুরী ও দীপু রায়, সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক মুনিরা শাহনাজ চৌধুরী, বন্ধু রাকিব আহমেদ, শাহরিয়ার কবিরসহ অন্য বন্ধুরা।
বইমেলা সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা