বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন অমূল্য অসাধারণ ব্যক্তি। তাঁর লেখা সব গল্প-উপন্যাস যেন জলজ্যান্ত রূপে ভেসে বেড়ায় পাঠকদের সামনে। ‘পরিণীতা’ তেমনি একটি উপন্যাস।
‘পরিণীতা’ প্রেম, সমাজ ও সংস্কারের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ললিতা—একজন বুদ্ধিমতী, সংবেদনশীল ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ কিশোরী। তার সঙ্গে নায়ক শেখরের সম্পর্ক কিশোরবেলা থেকেই গড়ে ওঠে। কিন্তু এই সম্পর্কের পথ সহজ নয়; সামাজিক বাধা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং অর্থনৈতিক শ্রেণিবিভাজন সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি করে।
শরৎচন্দ্র তাঁর অনন্য ভাষাশৈলী ও চরিত্রচিত্রণের মাধ্যমে পাঠককে একটি আবেগপ্রবণ জগতে নিয়ে যান। ললিতার সরলতা ও সাহসিকতা এবং শেখরের দ্বিধাগ্রস্ত মানসিকতা উপন্যাসটিকে গভীরতা দেয়। প্রেম, আত্মত্যাগ ও সামাজিক নিয়মের টানাপোড়েন—এই উপাদানগুলো ‘পরিণীতা’কে করে তোলে চিরন্তন এক প্রেমকাহিনি।
উপন্যাসটি নিয়ে ৩১ জুলাই পাঠচক্রের আসর করে মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা। কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সামিয়া আক্তার।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি রুবেল ফারহিন, সাধারণ সম্পাদক লিমা তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হাসান ও শেখ সানজিদা রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক উদয় সরকার, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক ইউসুফ মাহদী, বন্ধু পাহেল মিয়া, তামান্না ইসলাম, রাসেল মিয়া, তাহমিম আহমেদসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা