সৈয়দ মুজতবা আলীর এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘শবনম’। কিন্তু শবনম কি উপন্যাস, নাটক নাকি সৃষ্টিমুখর প্রেমকাব্য? রাধাকৃষ্ণ কিংবা শিরি-ফরহাদের প্রেমের চিরায়ত ধারা শবনম-মজনূনের মধ্যেও চিরবহমান সে প্রেম অনন্ত-অনাদি। তাই শবনমের মুখ থেকে উচ্চারিত হয় চিরমানবের অন্তর বেদনা— ‘আমার বিরহে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না’, ‘আমার মিলনে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না’।
শবনম মানে শিশিরকণা, লেখকের কল্পনায় শিউলি ফুল। সমস্ত রাতের স্বপ্নকে সঙ্গী করে যেমন করে শিউলি ফুল ফোটে, শবনমও তেমনি মজনূনের অনন্ত ভালোবাসার স্বপ্নকন্যা। সকালের সোনা রোদে শিউলি ঝরে যায়, শবনমও কি তেমনি ঝরে যাবে, এর উত্তর খুঁজতে মজনূন ব্যতিব্যস্ত থাকে। কিন্তু শবনম তো কথা দিয়েছে, ‘বাড়িতে থেকো, আমি ফিরব’। তবে কি ফিরেছিল শবনম? নাহ্!
উপন্যাস পড়া শেষ করেও পাঠকের মনে হবে, শেষ হয়েও হইল না শেষ। এ আক্ষেপের উত্তরও দিয়েছে শবনম তার প্রেমিক মজনূনের কাছে—
‘গোড়া আর শেষ, এই সৃষ্টির জানা আছে, বল কার?
প্রাচীন এ পুঁথি, গোড়া আর শেষ পাতা কটি ঝরা তার?’
গত ২৯ আগস্ট বইটি নিয়ে পাঠচক্র করে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউসিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্র সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ইয়ারমিন আক্তার।