বন্ধুত্বপূর্ণ জমজমাট ফুটবল আয়োজন

দুই দলের খেলোয়াড়েরা
ছবি: বন্ধুসভা

সূর্যের চোখ রাঙানি কমতে শুরু করেছে একটু একটু করে। এরই মধ্যে নিজেদের কাজ শেষ করে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হাজির খেলোয়াড়েরা। খেলাটা প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিস একাদশ বনাম চট্টগ্রাম বন্ধুসভা একাদশের। লক্ষ্য, খেলার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন আর মানসিক প্রশান্তি। ১৫ জুলাই বেলা তিনটা বাজতেই বাঁশিতে রেফারির ফুঁ, শুরু হয়ে যায় দুই দলের লড়াই। ফুটবল যুদ্ধে শেষ হাসি চট্টগ্রাম বন্ধুসভার। এই প্রীতি ম্যাচে ১–০ গোলে প্রণব বলের নেতৃত্বাধীন প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিস একাদশকে হারায় ইরফাতুর রহমানের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম বন্ধুসভা একাদশ।

খেলার শুরু থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। দুই দলই বেশ ভালো আক্রমণ সাজায়। ৫০ মিনিটের এ খেলায় প্রথমার্ধের ২৫ মিনিট বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে দুই দলই। তবে একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধু শান্ত বড়ুয়ার পা থেকে আসে গোল। মধ্যমাঠ থেকে ফাহিম উদ্দিনের বাড়িয়ে দেওয়া বলে দুর্দান্ত শটে গোলরক্ষককে বোকা বানান শান্ত। নিজের গোলসংখ্যা আরও বাড়াতে পারতেন শান্ত। বারবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় তাঁর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়।

ম্যাচের একটি দৃশ্য
ছবি: বন্ধুসভা

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। বন্ধুসভার গোলরক্ষক শাওন রায়ের কারণে বেশ কয়েকবার প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিস একাদশ প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠা দলটি সমতায় ফিরতে পারত সহজেই। তবে সেলিম রেজা সাগর ও প্রণব বল সহজ দুটি সুযোগ মিস করায় সেটি আর হয়ে ওঠেনি। উল্টো চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা পাল্টা আক্রমণে গিয়ে একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করে। সব কটিই ব্যর্থ হয় গোলকিপার মনজুর মোর্শেদের দারুণ দক্ষতায়।

শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা। ম্যাচ পরিচালনা করেন মিজানুর রহমান। তাঁকে সহায়তা করেন আবু নসর ও পৃথ্বীরাজ সাহা।

উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা