ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। বিভিন্ন ঋতুর আগমনে এখানে অতুলনীয় প্রাকৃতিক লীলাবৈচিত্র্যের সমারোহ ঘটে। বর্ষা এমনই এক ঋতু, যা যে কাউকে উদাস করে। মনের ভেতর লুকানো কোনো দুঃখবোধকে একনিমেষে জাগিয়ে তুলতে পারে বর্ষা। আবার তা ধুয়েমুছে সাফও করে দিতে পারে। ভাবুকের মনে গভীর ছায়া ফেলে এ ঋতু। তাই তো এই ঋতুকে ঘিরে শতসহস্র কবিতা লেখা হয়েছে। তৈরি হয়েছে কতশত কালজয়ী গান, কবিতা, ছড়া, অণুকাব্য, গল্প ও উক্তি। এবার বর্ষার স্মৃতিমধুর মুহূর্তগুলো নিয়ে ময়মনসিংহ বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের স্বরচিত লেখা নিয়ে প্রকাশ করেছেন দেয়ালিকা ‘বর্ষিল’।
২২ জুলাই বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের ধারাপাত বিদ্যালয়ে দেয়ালিকাটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বন্ধুসভার উপদেষ্টা ছৈয়দ রায়হান উদ্দিন, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর প্রতিনিধি কামরান পারভেজ, কবি রোকসানা আফরিন ও কবি সরকার আজিজ।
এই আয়োজনে ময়মনসিংহ বন্ধুসভার অনেক বন্ধু লেখা জমা দেন। এর মধ্যে ১৮ জনের লেখা দেয়ালিকায় স্থান পেয়েছে। অতিথিরা এ উদ্যোগকে খুবই আশাব্যঞ্জক উল্লেখ করে প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত সবার প্রশংসা করে বলেন, বর্ষিলের মতো আয়োজন বর্তমান প্রজন্মকে লেখালেখির প্রতি উৎসাহিত করবে এবং সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
‘বর্ষিল’ সম্পাদনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান সম্রাট। তিনি জানান, বন্ধুদের মধ্যে সৃজনশীলতা বাড়ায় এমন আয়োজন ময়মনসিংহ বন্ধুসভা সব সময় করে। আগামীতেও এ ধরনের প্রকাশনার কাজ বৃহৎ পরিসরে করা হবে।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের প্রকাশনা বন্ধুদের কর্মজীবনে প্রবেশের পথ সুগম করবে। মানসম্মত লেখালেখি করতে চাইলে আমাদের নিয়মিত বই পড়া উচিত।’
সম্পাদনা পর্ষদে আরও ছিলেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আলমাস হোসাইন। বর্ণবিন্যাস করেন সহসভাপতি মেহেদী হাসান ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক এহতেশাম বিন তাহের। অলংকরণ করেন বইমেলা সম্পাদক নুসরাত জাহান, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক লামিয়া শাহরিন ও বন্ধু লাইভা রহমান।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান জুয়েল, বন্ধু আল ইমরান, রিফাতসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা