‘ভ্যান চালাইতে চালাইতে মেলাক্ষণ ধরেই পানির তৃষ্ণা লাগতাছিল। আপনাদের শরবতটা খাইয়া মনে হইল জানডা ফিরা পাইসি’, জামালপুর বন্ধুসভার দেওয়া ঠান্ডা শরবত খেয়ে এ কথা বলেন এক ভ্যানচালক।
দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহে স্বস্তি নেই জনজীবনে। শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে গরমের কষ্ট আরও বেশি। ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসেও তাপমাত্রা কমেনি। এদিন জামালপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনটিতে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগ নেয় জামালপুর বন্ধুসভা।
‘শ্রমজীবী মানুষের পাশে বন্ধুরা’ কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যকর ঠান্ডা শরবত খাওয়ানো হয়। বেলা ১১টায় জেলা শহরের মির্জা আজম চত্বরে শুরু হয় এ কার্যক্রম। দেড় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষকে শরবত খাওয়ান জামালপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা।
এক বৃদ্ধ রিকশাচালক বলেন, ‘এত গরমে শইলডা ভালা লাগতেছিল না। শরবত খাওনের পর শান্তি লাগতেছে।’
এমন কার্যক্রমের জন্য বন্ধুসভাকে ধন্যবাদ জানান স্কুলের এক শিক্ষক। তিনি বলেন, এমন উদ্যোগের ফলে শ্রমজীবী মানুষেরা কিছু সময়ের জন্য হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর বন্ধুসভার সভাপতি ডা. জাকারিয়া জাকি, সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হাসান, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ, জেন্ডার-সমতাবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নাঈম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক নাহিদুল হাসান, বইমেলা সম্পাদক তাসকিন মাহমুদ, বন্ধু এ এস এম মাসুদ রানা, আমির হামজা, ফাহিম মোনায়েম, রুবেল মিয়া, লামিয়া আক্তার, মো. বিজয়, রাসেল মিয়া, সুপ্তি, সনেট, আবদুল মতিনসহ আরও অনেকেই।
বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা