বাহারি পিঠার উৎসব

খুলনা বন্ধুসভার উদ্যোগে পিঠার উৎসবছবি: বন্ধুসভা

শীতের শেষ প্রায়, কিছুদিন পরেই উঁকি দিবে ফাগুনের বাতাস। এমনই এক মনোমুগ্ধকর সময়ে পিঠা উৎসব করেছে খুলনা বন্ধুসভা। বন্ধুদের কেউ হাতে বানিয়ে, কেউ ক্রয় করে কেউ-বা আবার নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করে নিয়ে আসেন বাহারি পিঠা।

৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা নগরীর রূপসার কোলঘেঁষা রেভারভিউ পার্কে মনোরকম পরিবেশে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। পিঠাপুলি, ভাপাপিঠা, পাটিসাপটা, চিতইপিঠা, রসের পিঠা, পুলিপিঠা, সেমাইপিঠা, মুরগির মাংস, জামাইপিঠা, তেলেভাজাপিঠা, দুধচিতই, রস চিতইসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা ছিল।

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রথম আলো খুলনার নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আল এহসান। সঞ্চালনা করেন খুলনা বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাঃ রহমাতুল্লাহ।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্ধুসভার এ ধরনের আয়োজন গ্রামীণ লোকসংস্কৃতিকে স্মরণ করায়। এ ধরনের সংস্কৃতিচর্চা অব্যাহত থাকুক যুগের পর যুগ।

বন্ধুসভার উপদেষ্টা তারক চাঁদ ঢালী বলেন, ‘করোনার মহাদুর্যোগ কালেও বন্ধুদের কার্যক্রম চলমান ছিল। মানবিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ নানা কার্যক্রমে বন্ধুসভা প্রগতিশীল।’

খুলনা বন্ধুসভার উদ্যোগে পিঠার উৎসব

খুলনা বন্ধুসভার সভাপতি কাজী মাসুদুল আলম বলেন, ‘পিঠা উৎসব বাঙালির একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি। আমাদের এই গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতি শীতের সঙ্গে সম্পর্কিত। শীত আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে। তাই শীতের এই অনুভূতি স্মরণ রাখার জন্য এ আয়োজন।’

উৎসবে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধু এস এম আশিক ইমন ও জুঁই আক্তার। উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহেশ্বর মণ্ডল, খুলনা বন্ধুসভার উপদেষ্টা মর্ত্তুজা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আসফিক আহমাদ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য বন্ধুরা।

সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা বন্ধুসভা