রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’ ছোটগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নায়েবপুত্র ‘কথক’ উজ্জ্বল ভারতবর্ষের স্বপ্নে বিভোর। কথকের বাল্যসঙ্গী সুরবালা। বয়স যখন ১৫, তখন কথকের বাবা সুরবালার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। কথক বিয়ে না করেই কলকাতায় পালিয়ে যায়। এই ফাঁকে সুরবালার বিয়ে হয় রামলোচন নামের এক উকিলের সঙ্গে।
স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার হিসেবে কথক যখন যোগ দেয়, তখন থেকে সুরবালার স্বামী রামলোচনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একসময় সে ভাবে, যে সুরবালা তার কত কিছুই না হতে পারত, সে আজ অন্যের ঘরনি। অবশেষে এক দুর্যোগপ্রবণ রাতে সে সুরবালাকে কাছে পেল ঠিকই, তবে একান্ত আপনার করে নয়। বিশেষ এ রাতে সুরবালার পার্শ্ববর্তী হয়ে থাকাটাকেই কথক তার জীবনে ‘অনন্ত রাত্রির উদয়’ বলে মেনে নেয়। জীবনের সমস্ত খেদ সে ভুলে যায় একনিমিষে।
৩ অক্টোবর ‘একরাত্রি’ ছোটগল্প নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) বন্ধুসভা। শাবিপ্রবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সঞ্চালক জান্নাত চৌধুরী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’ ছোটগল্পটি তাঁর বিখ্যাত ‘গল্পগুচ্ছ’ সংকলনের অংশ এবং এটি ১২৯৯ বঙ্গাব্দে ‘সাধনা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
পাঠচক্রে আরও আলোচনা করেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, নুর হাসনাত, শাকিল হাসান, জান্নাত চৌধুরী, আলামিন ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম।